সতীর্থ নন্দিনীকে অভিযুক্ত করে এই টুইট করেছিলেন স্বপ্না বর্মণ। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ
সতীর্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন স্বপ্না বর্মণ। সোমবার বেলা গড়াতেই সেই টুইট মুছে দিয়েছেন তিনি। কার্যত ৫ ঘণ্টার মধ্যেই ঢোঁক গিলেছেন তিনি। এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভারতেরই নন্দিনী আগাসারা। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছিলেন স্বপ্না।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ সমাজমাধ্যমে ভেসে ওঠে স্বপ্নার বক্তব্য। তাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমি এক জন রূপান্তরিত মহিলার কাছে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক হেরেছি। অ্যাথলেটিক্সের নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই আমি আমার পদক চাই। দয়া করে আমাকে সবাই সমর্থন করুন।’’ এই পোস্টই দুপুর ২টো নাগাদ মুছে দিয়েছেন স্বপ্না।
নন্দিনী সত্যিই রূপান্তরিত কি না, সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। এর আগে কেউ তাঁর লিঙ্গপরিচয় নিয়ে অভিযোগ তোলেননি। তাই স্বপ্নার অভিযোগ চাঞ্চল্য তৈরি করেছিল। গত বারের এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। এ বার ব্রোঞ্জও পাননি। সম্ভবত সেই হতাশা থেকেই ব্রোঞ্জজয়ী সতীর্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
হেপ্টাথলন ফাইনালে একটা সময় পর্যন্ত নন্দিনীর আগে ছিলেন স্বপ্না। কিন্তু শেষ ইভেন্টে এক নম্বরে শেষ করেন নন্দিনী। ফলে স্বপ্নাকে টপকে যান। শেষ পর্যন্ত ৫৭১২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন নন্দিনী। ৫৭০৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন স্বপ্না। স্বাভাবিক ভাবেই হারের পর স্বপ্নার অভিযোগ নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। রবিবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে স্বপ্নাদের ইভেন্ট। তিনি এবং নন্দিনী এখনও দেশে ফেরেননি। হ্যাংঝাউ ছাড়ার আগেই ‘প্রতিবাদী’ টুইট করেছিলেন স্বপ্না।
‘প্রতিবাদী’ স্বপ্নার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকে। আবার কেউ কেউ সমালোচনাও করেছিলেন। অনেকে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন দল ঘোষণার সময় বা প্রতিযোগিতার আগে কেন নন্দিনীকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি স্বপ্না? কেন হেরে যাওয়ার পর প্রশ্ন তুললেন? অনেকে বলেন, স্বপ্না কি নন্দিনীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারবেন?