অ্যাথলিট দ্যূতি চন্দ ও তাঁর সঙ্গিনী। ফাইল চিত্র
তিনি মানেই একের পর এক বিতর্ক। এর মধ্যে তাঁকে নিয়ে সব থেকে বড় বিতর্কটা হয়েছিল তিন বছর আগে। নিজেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি সমকামী। সেই স্বগোক্তি জানিয়ে দিয়েছিল, তিনিই ভারতের প্রথম ও এখনও পর্যন্ত এক মাত্র ঘোষিত সমকামী অ্যাথলিট। এ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সেই দ্যূতি চন্দ। যে হেতু এ দেশে সমকামী বিয়ে এখনও আইন-স্বীকৃত নয়, জানেন কোনও সংশাপত্র পাবেন না। কিন্তু এটুকু জানেন, গত ডিসেম্বরে হায়দরাবাদ এবং এই মাসে কলকাতায় সমকামী বিয়ে হয়েছে। বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়েই হয়েছে। আর এগুলো দেখেই দ্যূতি ঠিক করেছেন, ২০২৪ সালের অলিম্পিক্স শেষ হলেই তিনি বিয়ে করে ফেলবেন।
একটি ইংরাজি সংবাদপত্রকে ভারতের এই স্প্রিন্টার বলেছেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার ইচ্ছে আছে। কিন্তু আমি এখনও খেলার মধ্যে আছি। বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই থাকি না। হয় প্রস্তুতি শিবিরে থাকি, না হলে প্রতিযোগিতার জন্য বাইরে থাকি। তাই আমার সঙ্গিনীকে বলেই দিয়েছি, ২০২৪ অলিম্পিক্স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। ওর মাত্র ২২ বছর বয়স, আমার ২৬। আর দু’-তিন বছর খেলাধুলো করি। তারপর দেখা যাবে।’’
এখানে তো স্বীকৃতি পাবেন না। সে ক্ষেত্রে বিদেশে ঘর বাঁধবেন? এশিয়ান গেমসে ১০০ ও ২০০ মিটারে রুপোজয়ী জানিয়েছেন, ‘‘সেটা ভাবিনি। আগে প্যারিস অলিম্পিক্সটা যাক। আমার সঙ্গিনীর উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে। দু’বছর পরে ও কী চায়, সেটাও তো দেখতে হবে।’’
স্বীকৃতি না পাওয়া নিয়েও বিশেষ চিন্তিত নন দ্যূতি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আইনজীবীর সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, আদালত থেকে ম্যারেজ সার্টিফিকেট হয়ত পাব না, কিন্তু গ্রামের মন্দিরে আমরা বিয়ে করতেই পারি। দুই পরিবারের সম্মতি থাকলে এই বিয়ে হতেই পারে।’’
বিয়ের আগে আপাতত দ্যূতির লক্ষ্য এই বছরের বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস। রিলেতে নামছেন ওড়িশার দ্যূতি।