পিভি সিন্ধু। —ফাইল চিত্র।
ইতিহাস রচনা করলেন পিভি সিন্ধুরা। ব্যাডমিন্টন এশিয়া টিম চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাইল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারালেন তাঁরা। এই প্রথম এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের মহিলা ব্যাডমিন্টন দল। সিন্ধু ছাড়াও ভারতের হয়ে ফাইনালে জয় পেয়েছেন আনমোল খারব এবং গায়ত্রী গোপীচন্দ-তৃষা জলি জুটি।
প্রতিপক্ষ হিসাবে তাইল্যান্ড সহজ ছিল না। তবু ফাইনালে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী ছিল ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন দল। চোট সারিয়ে কোর্টে ফেরা সিন্ধু এবং তাঁর সতীর্থেরা স্মরণীয় জয় উপহার দিলেন ক্রীড়াপ্রেমীদের। প্রথম ম্যাচে দু’বারের অলিম্পিক্স পদকজয়ী ৩৯ মিনিটে ২১-১২, ২১-১২ ব্যবধানে হারিয়ে দেন তাইল্যান্ডের সুপানিন্দা কাথেংকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পায় ভারত। গায়ত্রী-তৃষা জুটি ২১-১৬, ১৮-২১, ২১-১৬ ব্যবধানে হারান জংকলফাম কিতিথারকুল-রাউইন্দা প্রাজঙ্গল জুটিকে। তৃতীয় গেমে এক সময় ৬-১১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল ভারতীয় জুটি। সেখানে থেকে দুরন্ত লড়াই করে গেম এবং ম্যাচ ছিনিয়ে নেন গায়ত্রী-জলি। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে তাঁদের জয় ভারতকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়।
এর পর ধাক্কা লাগে ভারতীয় শিবিরে। সেমিফাইনালে জাপানের প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নোজোমি ওকুহারাকে হারিয়ে চমকে দেওয়া অস্মিতা চাহিলা ১১-২১, ১৪-২১ ফলে হেরে যান তাইল্যান্ডের বুসানান ওবামরুংফামের কাছে। দ্বিতীয় ডাবলস ম্যাচেও ভারতকে হারিয়ে ২-২ করে ফেলে তাইল্যান্ড। এর পর নির্ণায়ক পঞ্চম ম্যাচে ভারতের হয়ে নামেন বিশ্বের ৪৭২ নম্বর আনমোল। সাইনা নেহওয়ালের ১৬ বছরের ভক্ত চাপ সামলে জয় ছিনিয়ে নেন বিশ্বের ৪৫ নম্বর পর্নপিচা চোইকিওংকে। ২১-১১, ২১-১৪ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেন তিনি। তাঁর জয়ের সঙ্গে সঙ্গে এশীয় ব্যাডমিন্টনে মহিলাদের দলগত বিভাগে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।