মরিয়া: জল সরানোর প্রাণপণ চেষ্টায় মাঠকর্মীরা। রবিবার ধর্মশালায়। টুইটার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। কিন্তু বৃষ্টিই কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সেই রাস্তায়। রবিবার ধর্মশালায় তুমুল বৃষ্টির কারণে এক বল না হয়েই বাতিল হয়ে গেল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আবহাওয়া খারাপ থাকবে জেনেও বিকেল থেকেই মাঠ ভরিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকরা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বৃষ্টি কমে যায়। তখন একটা আশা তৈরি হয়েছিল যে, ম্যাচ হতেও পারে। মাঠকর্মীরা যখন পুরোদস্তুর নেমে পড়েছেন জল শুকনোর কাজে, আবার শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। যার পরে আর ম্যাচ করা সম্ভব হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মোহালিতে, বুধবার। এ দিন টস পর্যন্ত না হওয়ায় দর্শকরা তাঁদের টিকিটের মূল্য ফেরত পাবেন।
আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে কোহালি বলেছিলেন, নতুনরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কী রকম খেলেন, সেটা তিনি দেখে নিতে চান। এই সিরিজই সেই পরীক্ষার মঞ্চ হতে চলেছে। কিন্তু ভারতীয় দল পরিচালন সমিতিকে আপাতত অপেক্ষা করে থাকতে হবে মোহালির ম্যাচের জন্য।
প্রশ্ন উঠেছে শিখর ধওয়নকে ঘিরেও। কোনও কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধওয়নকে এখন খেলানো হবে কি না, সেটা ঠিক করুক ভারতীয় দল। এ দিন ভারতের হেড কোচ শাস্ত্রী একটি ছবি টুইট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধওয়নের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত তিনি। শাস্ত্রী লিখেছেন, ‘‘কফি, পাহাড়, ক্রিকেট এবং আলোচনা— শিখর ধওয়নের সঙ্গে।’’ সেই আলোচনায় কী উঠে এসেছে, সেটাই এখন ক্রিকেট ভক্তদের প্রশ্ন।
ভারত যেমন এই সিরিজে নতুন প্রজন্মের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নিতে চাইছে, সে রকম দক্ষিণ আফ্রিকাও নতুন একটা দল তৈরি করতে চাইছে। এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফ্যাফ ডুপ্লেসি আসেননি। বিশ্বকাপের পরে অবসর নিয়েছেন হাসিম আমলা, ইমরান তাহিররা। ডেল স্টেন সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলবেন বলে জানালেও তাঁকে এই সফরে দলে রাখা হয়নি। এই অবস্থায় অধিনায়ক কুইন্টন ডিককের সামনে চ্যালেঞ্জ নতুন একটা দল তৈরি করা। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা আবার আক্রান্ত অন্য এক সমস্যায়।
তাদের অনেক ক্রিকেটারই দেশের হয়ে খেলার চেয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। যে তালিকায় নতুন সংযোজন কাইল অ্যাবট এবং ডুয়ান অলিভারের মতো ক্রিকেটার। এই সমস্যা ঠেকাতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে এখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার ভাবনায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।