“কেমন লাগছে তোমার?” সঞ্জনার প্রশ্নে এক গাল হাসি বুমরার। ছবি: টুইটার থেকে
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে চমক আইসিসি-র। যশপ্রীত বুমরার সাক্ষাৎকার নিলেন তাঁর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন। ইনস্টাগ্রামে বুমরার দেওয়া কিছু ছবি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন সঞ্জনা।
“কেমন লাগছে তোমার?” সঞ্জনার প্রশ্নে এক গাল হাসি বুমরার। বললেন, “তুমি তো জান আমি কেমন আছি।” গোটা সাক্ষাৎকার জুড়েই ২ জনের এমন খুনসুটি দেখা গেল। সামনে সঞ্জনা আর ক্যামেরা। কোন দিকে তাকাবেন বুঝতে পারছিলেন না বুমরা। সঞ্জনাকেই জিজ্ঞেস করলেন কী করবেন। ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলায় বুমরার উত্তর, “চেষ্টা করব।”
গাব্বায় অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সিরিজ জেতে ভারত। সেই ট্রফি নিয়ে বুমরার ছবি দেখিয়ে সঞ্জনা জিজ্ঞেস করেন কেমন ছিল সেই মুহূর্তটা? বুমরা বলেন, “আমি খেলিনি ম্যাচটা। তবে স্মরণীয় মুহূর্ত। বিশ্বাস ছিল তরুণদের ওপর। তবে জৈব সুরক্ষা বলয় থাকার কারণে খুব বেশি আনন্দ করতে পারিনি।” চমক ছিল পরের ছবিতে।
গিটার হাতে বুমরা। সঞ্জনার প্রশ্ন, “তুমি গিটার বাজাও?” বুমরা বলেন, “না, না। ২০১৪ সালে শেখার চেষ্টা করেছিলাম। দিদির গিটার এটা। তবে শেখা হয়ে ওঠেনি। কোনও একদিন নিশ্চয়ই শিখব।” পরের ছবিতে বুমরার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দিদি। বুমরা বলেন, “কী করছিলাম সে দিন কে জানে? কথাও বলতে পারতাম না তখন। খুব ছোট ছিলাম। আশা করি ভাল দিন ছিল। দিদিকে জিজ্ঞেস করতে হবে।”
পরের ছবিতে দেখা যায় ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করছেন বুমরা। আগের ছবির কোনও স্মৃতি না থাকলেও এই ছবির কথা স্পষ্ট মনে আছে তাঁর। বুমরা বলেন, “ক্লাব ক্রিকেটের খেলা ছিল। এই টি২০ ম্যাচে খুব বড় সাফল্য পেয়েছিলাম। ৪ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে অনেকগুলো উইকেট নিয়েছিলাম। হ্যাটট্রিকও ছিল সেই ম্যাচে। অনূর্ধ্ব ১৭-র ম্যাচ ছিল।”
পরের ছবি দেখেই সঞ্জনাকে বুমরার প্রশ্ন, “এই ছবিটা তুমি বেছে দিয়েছ?” খালি গায়ে অ্যাবস দেখাচ্ছেন তিনি। বুমরা বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে হলে শরীর তৈরি করা প্রয়োজন। সেই কাজই চলছিল তখন।” সঞ্জনা বলেন, “অ্যাবস দেখাচ্ছ বলো?” এক গাল হেসে বুমরার উত্তর, “বলতে পারো।”
এরপর দেখা যায় সঞ্জনা এবং বুমরার বিয়ের দুটো ছবি। মজা করে বুমরা বলেন, “কে আছে এই ছবিতে? চেনা চেনা লাগছে।” মাস্কে ঢাকা সঞ্জনাও হেসে ফেলেন বুমরার কথা শুনে। বুমরা বলেন, “আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। কিছু দিন আগেই ঘটেছে। তোমারও নিশ্চয়ই মনে আছে।” পরের ছবিতে সাতপাকে ঘোরার দৃশ্য। দেখে বুমরা বলেন, “খুব সুন্দর পিছনের সাজানোটা। সামনের মানুষটাও খুব সুন্দর। ক্যাপশনটা যেন কার লেখা?” হাত তোলেন সঞ্জনা। বুঝিয়ে দেন তিনিই লিখে দিয়েছিলেন সেই ক্যাপশনটি।