বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের জন্য মুখিয়ে কোহলীর তিন মুখ্য বোলার ইশান্ত, শামি, অশ্বিন ফাইল চিত্র
দুই বছরের কঠিন পরিশ্রমের পর এ বার সামনে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল জয়। সাদাম্পটনের রোজ বোলে ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে বিরাট কোহলীর ভারত। আইসিসি তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যাওয়ার জন্য অন্যতম কৃতিত্ব দলের বোলারদের। ১৮ জুন ফাইনালে নামার আগে বিসিসিআই-এর ওয়েবসাইটে কথা বললেন ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই আলাপচারিতার অংশ তুলে ধরা হল।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: টেস্ট ক্রিকেট হল এই খেলার শেষ কথা। টেস্ট ক্রিকেটেই একজন খেলোয়াড়ের মানসিকতার পরিচায় পাওয়া যায়। সব টেস্ট খেলিয়ে দেশ এমন একটা প্রতিযোগিতা অনেক বছর ধরে চেয়ে আসছিল। আমিও এই ফাইনালের জন্য মুখিয়ে আছি।
ইশান্ত শর্মা: বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের সফর আমার কাছে খুবই আবেগের। বিরাটের সঙ্গে আমি একদম একমত। আমার কাছে তো এটা বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো। গত দুই বছর ধরে এই ম্যাচটা খেলার জন্য অনেক লড়াই করেছি। এর মধ্যে করোনার জন্য খেলা সাময়িক বন্ধ হয়েছিল। ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মে বদল আসে। আমার অনুপস্থিতিতে গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দল ভাল ফল করেছে। ফাইনাল খেলার জন্য ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে অন্তত ৩-১ ব্যবধানে হারাতেই হতো। সেটা করার পরে এই ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি।
মহম্মদ শামি: আত্মবিশ্বাসের জন্য এমন ম্যাচ খেলা খুব উচিত। তবে এটা তো ফাইনাল। তাই আরও সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দলের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল অস্ট্রেলিয়া সফরে একাধিক সিনিয়র না থাকার পরেও কিন্তু জুনিয়ররা দারুণ লড়াই করে টেস্ট সিরিজ জেতাতে সাহায্য করেছে। সেটা দেখার পরে আমাদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। তবে সবাইকে ১১০ শতাংশ দিতে হবে।
ইশান্ত: সেই সিরিজের পর থেকে আমাদের প্রতি সবার ধারণা একেবারে বদলে গিয়েছে। সেই সিরিজ জেতার পর থেকে আমাদের সবার মনে হয়, আমরা যে কোনও অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করতে পারি।
অশ্বিন: গত বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির উত্থান-পতন চোখের সামনে দেখা। ওই স্মৃতি আজীবন মনে রাখব। ব্রিসবেনে যে ভাবে সিরিজ শেষ হয়েছিল সেই অভিজ্ঞতা দারুণ।
ইশান্ত: সাধারণত ভারতে টেস্ট ম্যাচ খেললে নতুন বল দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পরেই রিভার্স সুইং করানো যায়। তবে ইংল্যান্ডে ব্যাপারটা একেবারে আলাদা। এখানে সব সময় হাওয়া চলে। সঙ্গে রয়েছে ঠাণ্ডা। বল সুইং করে। সেটা দ্রুত মানিয়ে নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়।
শামি: দেখুন এখানে আগেও খেলেছি। তাই ইংল্যান্ডের আবহাওয়াতে কীভাবে বল করতে হয় সেটা জানি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই মাঠে নামব।
অশ্বিন: ইংল্যান্ডের আবহাওয়াই কিন্তু ‘রাজা’। এর সঙ্গে সবাইকে মানিয়ে নিতে হয়। তাই সতীর্থদের সঙ্গে মজা করে প্রায় বলে থাকি যে মাঠ নয় আকাশ ঢাকতে হবে। প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ড কিন্তু বেশ কঠিন। তাই ফাইনাল সহজ হবে না। ওরা ফাইনালের আগে দুটো টেস্ট ম্যাচ খেলছে। ফাইনালে ওরাই এগিয়ে আছে।
শামি: এই ফাইনালের সবচেয়ে ভাল দিক, কোনও দল ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাবে না। তবে লড়াই হবেই। কারণ বিশ্বের এক ও দুই নম্বর দল মুখোমুখি হচ্ছে।
ইশান্ত: এই টেস্টে কিন্তু দুটো দলের কাছেই সমান সুযোগ আছে। তাই ম্যাচের কোনও মুহূর্তে আমাদের দল পিছিয়ে থাকলেও চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ টেস্টে খুব দ্রুত খেলা বদলে যায়। এর মধ্যে আবার ইংল্যান্ডে খেলছি। এখানে তো খেলা আরও দ্রুত বদলায়। তাই মাঠে নামার আগে অহেতুক চিন্তা করার কিছু নেই।