জস বাটলারকে স্লেজিং করে পরিবেশ গরম করে দেন বিরাট কোহলী। ছবি - টুইটার
ঝামেলা টেস্টের চতুর্থ দিনেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। জেমস অ্যান্ডারসনের গায়ে এক নাগাড়ে শর্ট বল মেরে পরিবেশ গরম করে দিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। সেই বাকযুদ্ধ শেষ হল বিরাট কোহলী বনাম জস বাটলার বিতর্ক দিয়ে। লর্ডস টেস্ট বাঁচানোর জন্য ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ক্রিজে আসতেই ভারত অধিনায়ক টিপ্পনি কেটে বলে ওঠেন, ‘ওহে তুমি চিন্তা কোরও না। এটা কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেট নয়।’
বাটলারের আত্মবিশ্বাসে শুরুতেই আঘাত করতে চেয়েছিলেন কোহলী। সেটা অবশ্য দিনের শেষে সফলও হল। মহম্মদ সিরাজের বাইরে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে ঋষভ পন্থের হাতে বল জমা দিতে মাঠ জুড়ে হুঙ্কার দিতে শুরু করেন ভারত অধিনায়ক। বেশ বোঝা যাচ্ছিল তাঁর সেই টিপ্পনির টোটকা কাজে লেগেছে।
জো রুটের দলও চেষ্টার খামতি করেনি। অ্যান্ডারসন পুরো ফিট না হলেও চেষ্টা করছেন। মার্ক উড ও অলি রবিনসন বেশ কয়েকবার বুমরার হেলমেটে মেরেছেন। বুমরার কাছে গিয়ে বাটলার স্লেজিং করে এসেছিলেন। কিন্তু কোনও টোটকা কাজে আসেনি।
টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে মাঠ ছাড়ার সময় জেমস অ্যান্ডারসন ও যশপ্রীত বুমরা। ছবি - টুইটার
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ৯১তম ওভারের ঘটনা। সেই ওভার শেষ হওয়ার পরই বুমরার উদ্দেশে উড ও বাটলারকে কিছু বলতে দেখা যায়। তার আগে অ্যান্ডারসন ও বুমরার মধ্যেও বাকযুদ্ধ বেঁধেছিল। এরপর বুমরাও থেমে যাওয়ার পাত্র নন। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেন। বলতে থাকেন, ‘যত পারো জোরে বল করে যাও। আমি অভিযোগ জানাতে আসব না।’
অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আম্পায়ারকে আসরে নামতে হয়েছিল। পুরো ঘটনা ব্যালকনি থেকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন কোহলী। এই ঘটনাগুলোই ভারতীয় দলকে আরও চাগিয়ে তুলেছিল, যার সমাপ্তি ঘটল ১৫১ রানে জয় দিয়ে।