কোহলী বনাম রুটের পঞ্চম টেস্টের লড়াই হল না। ফাইল ছবি
কোভিডের কারণে শুক্রবার সকালেই বাতিল হয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট। পরে দুই বোর্ড বিবৃতি দিয়ে সে কথা সরকারি ভাবে জানিয়েও দেয়। এরপরেই শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। কেউ কেউ যেমন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন, তেমনই কেউ কেউ এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
সুনীল গাওস্কর যেমন এই ঘটনার সঙ্গে তুলনা টেনেছেন অতীতের একটি ঘটনার। ২০০৮-এ মুম্বইয়ে জঙ্গি হানার পর দেশে ফিরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে ফের ভারতে ফিরতে দুটি একদিনের ম্যাচ এবং টেস্ট সিরিজ খেলেছিল তারা। সেই ঘটনা তুলে ধরে গাওস্কর বলেছেন, “পরে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক। ২০০৮-এর ওই ভয়ঙ্কর আক্রমণের পরেও ইংল্যান্ড দেশে ফিরেছিল। ওদের না ফেরার অনেক কারণ ছিল। কিন্তু কেভিন পিটারসেন দলকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। কেপি যদি না বলত তাহলে সেখানেই সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেত। কেপি চেয়েছিল বলেই বাকিরা এসেছে।”
গাওস্কর জানিয়েছেন, সামনের বছর ভারত সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে যাচ্ছে। তখন ছোট একটা সময় বের করে অসমাপ্ত টেস্ট সম্পূর্ণ করা যেতে পারে। গাওস্কর বলেছেন, “আইপিএল-এর জুনের শুরুর দিকে শেষ হয়ে যাবে। তাই কিছুদিন আগে যাওয়াই যায় সে দেশে। তবে সেটা কোভিডের উপরে নির্ভর করছে।”
গাওস্কর যাঁর কথা বলেছেন, সেই পিটারসেনও ভারতের না খেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। টুইটারে লিখেছেন, ‘কোভিডের ভয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ছেড়ে চলে এসেছিল ইংল্যান্ড। তাতে ওদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই অন্যের দিকে সব সময় আঙুল তুলবেন না’।
প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার তথা অধিনায়ক নাসের হুসেন সরাসরি দোষারোপ করেছেন আইপিএল-এর প্রতি। বলেছেন, “বিসিসিআই বরাবরই এই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় ছিল। ওরা চায় কোনও ভাবেই যেন আইপিএল-এর গায়ে আঁচ না লাগে। কারণ আইপিএল-এ বিরাট অর্থনীতি জড়িয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই এক বার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দেশের বাইরে প্রতিযোগিতা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্রিকেটাররাও ভাবছে তারা যদি পজিটিভ হয়ে যায় তাহলে কী হবে।” শেন ওয়ার্ন এই টেস্ট বাতিল হওয়া মেনে নিতে পারেননি। টুইট করেছেন, ‘লজ্জার ঘটনা। দারুণ একটা সিরিজ চলছিল’।