পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর সাজঘরে ম্যাচের সেরা অলি রবিনসন। ছবি - টুইটার
দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ও আগুনে বোলিং করে প্রথম বার ম্যাচের সেরার পুরস্কার। সঙ্গে জেমস অ্যান্ডারসনের টোটকা পেয়ে বিরাট কোহলীর মূল্যবান উইকেট। এই নিয়ে চলতি সিরিজে দু’বার ভারত অধিনায়ককে আউট করেছেন। স্বভাবতই ম্যাচের শেষে অলি রবিনসনের আনন্দের সীমা নেই। সেটা তাঁর কথায় বোঝা গেল। এটাও বোঝা গেল, রবিনসন নন, কোহলীর উইকেটটি অ্যান্ডারসনেরই।
লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর এ বারও জো রুটের হাতে ক্যাচ ধরিয়ে কোহলীকে ফেরালেন। কেরিয়ারের শুরুতে এটা তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি। সেটাও স্বীকার করে নিলেন এক সময় বিতর্কের জন্য নির্বাসিত হওয়া ২৭ বছরের এই বোলার। সেই প্রশ্ন আসতেই রবিনসন অবশ্য অ্যান্ডারসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন।
রবিনসন বলেন, “জিমির টোটকা বারবার কাজে লেগেছে। কোহলীর দুর্বলতা কোথায়, সেটা জিমি খুব ভাল জানে। তাই ওর কাছ থেকে জেনে নিয়ে কোহলীর বিরুদ্ধে বল করেছিলাম। এ বার কোহলী আমাকে চার মারার পরেই ওকে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করতে শুরু করি। চতুর্থ ও পঞ্চম স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য। লর্ডসের পর এখানেও সেই পরিকল্পনা কাজে লাগল। জানতাম কোহলী ফাঁদে পা দেবে। আর সে ভাবে বল করে সাফল্য এল।”
প্রথম ইনিংসে ১৬ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে একাই ভারতের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দিলেন ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির এই ডানহাতি জোরে বোলার।
বললেন, “দেশের হয়ে প্রথম বার ম্যাচের সেরা হলাম। দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে ভাল লাগার ব্যাপার হল জিমির মতো মানুষের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পারলাম। শুধু বোলিং নয়, জীবন নিয়েও ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।”