শতরানের পর জো রুট। ছবি - পিটিআই
শতরান করে দলকে লড়াইয়ে রাখলেন জো রুট। যদিও চলতি টেস্টে চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় বিরাট কোহলীর ভারত।
ট্রেন্ট ব্রিজের বাইশ গজে চতুর্থ দিন যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ শুরু থেকে বল করেন। সাহেবদের উপর একের পর এক আক্রমণ করলেও ইংরেজ অধিনায়ক বিরাটবাহিনীর বিরুদ্ধে একাই রুখে দাঁড়ান। রুটের ১০৯ রানের সুবাদে চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় তাঁর দল। ৩০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৯ রান।
২০০৭ সালের পর ২০১৮ সালে এই ট্রেন্ট ব্রিজে টেস্ট জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। এ বার কি সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে? কোহলী ও তাঁর ব্যাটসম্যানরা একই ভুল বারবার না করলে নটিমহ্যামের বাইশ গজে নতুন ইতিহাস লেখা হতেই পারে।
পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন বুমরা। ছবি -টুইটার
দিনের শেষে কেএল রাহুলকে ফিরিয়ে ভারতকে একটা ধাক্কা দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ১ উইকেটে ৫২ রান করে দিনের শেষে মাঠ ছাড়েন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা। জিততে হলে দরকার আরও ১৫৭ রান।
তার আগে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার। ব্যতিক্রম রুট। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রান করার পর এ বার যেন আরও খুনে মেজাজে ধরা দিলেন। ভারতের আগুনে জোরে বোলিংয়ের তোয়াক্কা না করে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকেন তিনি।
রুট সঙ্গে পেয়েছিলেন ডম সিবলি, জনি বেয়ারস্টো, ড্যান লরেন্স ও স্যাম কারেনকে। এঁদের সঙ্গে নিয়ে ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন অধিনায়ক। ভাগ্যের সঙ্গও পেয়েছিলেন। শুরুতেই আউট হতেন পারতেন রুট। বুমরার আউট সুইংয়ে খোঁচা দিলেও বল প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা কোহলীর কিছুটা আগে গিয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই বুমরার বলেই তাঁকে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়।
রোহিত ও পূজারার দিকে তাকিয়ে ভারত। ছবি - টুইটার
কেরিয়ারের ২১টি শতরান হয়ে গেল রুটের। ভারতের বিরুদ্ধেও তাঁর টেস্ট রেকর্ড বরবারই ভাল। কোহলীর দলের বিরুদ্ধে ২১টি টেস্টে ১৯৬২ রান করে ফেললেন। সঙ্গে রয়েছে ৬টি শতরান ও ১০টি অর্ধ শতরান। গড় ৫৬.০৫।
রুটকে ফেরানো বুমরা ৬৪ রানে ৫ উইকেট নেন। সিরাজ ও শার্দূল দুটি করে উইকেট নিয়ে তাঁকে সঙ্গতও করলেন।
শেষ দিনের প্রথম সেশনে ইংরেজ জোরে বোলাররা কি বুমরা, সিরাজের মতো দাপট দেখাবেন, না পয়া ট্রেন্ট ব্রিজে টেস্ট জয়ের হ্যাটট্রিক করবে কোহলীর ভারত? আর অপেক্ষা কয়েক ঘণ্টার।