টেস্ট হারলেও নিজের নীতি থেকে সরে আসছেন না বিরাট কোহলী। ছবি - টুইটার
লিডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক ইনিংস ৭৬ রানে টেস্ট হারতেই সুনীল গাওস্কর ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের একহাত নিয়েছিলেন। তাঁর মতে বাকি দুই টেস্টে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানো উচিত। গাওস্করের এই পরামর্শ মানতে রাজি নন বিরাট কোহলী। ভারত অধিনায়কের দাবি, একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামলে দলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সাজঘরেও নেতিবাচক মানসিকতার আমদানি ঘটবে।
২ উইকেটে ২১৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামলেও মধ্যাহ্নভোজের আগেই ২৭৮ রানে গুটিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। মাত্র ৫৪ মিনিটে ৮ উইকেট হারায় ভারত। রান ওঠে ৬৩। দলের মিডল অর্ডার যে একেবারে ব্যর্থ, সেটা বারবার প্রকট হয়ে উঠছে। যদিও কোহলীর দাবি বিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নেওয়া তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে কোহলী কোনও রাখঢাক না করে বলেন, “আপনারা কি একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোর কথা বলছেন? আমি এই নীতিতে একেবারেই বিশ্বাসী নই। কারণ আমার মতে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানো মানেই ড্র-এর জন্য খেলতে হবে। আর সেটা না হলে ম্যাচ হারতে হবে। অতীতে এই নীতি নিয়ে ভারত অনেক টেস্ট ড্র করেছে। আমি এটা মানতে পারব না।”
ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের যুক্তি দিলেন কোহলী। ফাইল চিত্র
কোহলী আরও যোগ করেন, “তাছাড়া উইকেটরক্ষক নিয়ে দলের ছয় ব্যাটসম্যান যদি অবদান না রাখতে পারে, তাহলে সপ্তম ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসেই ম্যাচ জিতিয়ে দেবে, এমন নিশ্চয়তা কোথায়! তাই যারা আছে তাদেরই লড়তে হবে। পাশাপাশি প্রতি টেস্টে ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের বোলারদের রয়েছে। তাই সেই দিকটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। দলের ভাসসাম্য কিছুতেই নষ্ট করব না।”
লিডসে জো রুটের ইংল্যান্ড জেতার পর সিরিজ এখন ১-১। আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে ওভালে শুরু হবে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। সেই টেস্টে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মার মধ্যে যে কোনও একজন বিশ্রাম নিতে পারেন। এমনকি এই তিনজনের মধ্যে কোনও দু’জন বিশ্রাম নিলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কোহলী। বলেন, “পরের টেস্টে ওদের মধ্যে কেউ বিশ্রাম নিতেই পারে। এটা যুক্তিপূর্ণ ও সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। কারণ আমরা সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। কোনও একজন বা দু’জনের উপরে বেশি চাপ দেওয়া হলে চোট-আঘাত বাড়তে পারে। একজন জোরে বোলার লাগাতার চার টেস্ট ম্যাচ খেলবে, আজকের যুগে এটা বড্ড বাড়াবাড়ি। তাই জোরে বোলারদের শরীরের খেয়াল রাখতেই হবে।”