সিরিজ জয়ের পর সতীর্থদের সঙ্গে 'কিং কোহালি'। ছবি - টুইটার। ছবি - টুইটার
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে আসার পরেও ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টেই হার! এই অপমান হজম করতে পারেনি ভারতীয় দল। সেই অপমানের বদলা নেওয়ার জন্যই আর তাই ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া। আর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য রোহিত শর্মার শতরান সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল। এমনটাই মনে করেন বিরাট কোহালি।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১ ইনিংস ২৫ রানে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ পকেটে পুরেছে ভারত। সতীর্থদের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও চেন্নাইতে প্রথম টেস্ট হারের ক্ষত কোহালি ভুলতে পারেননি। তাই ম্যাচের শেষে সেই প্রসঙ্গ চলে এল।
ভারত অধিনায়ক বলেন, “টস হার ম্যাচ হারের অবশ্যই কারণ। কিন্তু বড় কারণ নয়। কারণ প্রথম টেস্টে তো আমরা কোনও বিভাগেই দাঁড়াতে পারিনি। বিশেষ করে বোলিং ও ফিল্ডিং খুবই সাদামাটা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় জিতে আসার পর সেই হার আমাদের হজম করতে অসুবিধা হয়। আর তাই সেই চেন্নাইতেই ওদের হারিয়ে দারুণ আনন্দ পেয়েছিলাম। তবে একই সঙ্গে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও ছিল আমাদের দায়িত্ব। সেটা গত দুটো টেস্টে করতে পেরেছি বলেই আমরা সিরিজ জিতলাম।”
চিপকে রোহিতের শতরান সিরিজের মোড় ঘুরিয়ে দিল। মনে করেন কোহালি। ছবি - টুইটার।
পিছিয়ে থেকেও ঘরের মাঠে ফের একটা টেস্ট সিরিজ জয়। দেশের মাটিতে ২৩টি টেস্ট জিতে স্টিভ ওয়াকে ছাড়িয়ে গেলেন কোহালি। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক ২২টি টেস্ট জিতেছিলেন। এখন তাঁর সামনে আছেন গ্রেম স্মিথ ও রিকি পন্টিং। ঘরের মাঠে স্মিথ সবচেয়ে বেশি ৩০ ও পন্টিং ২৯টি টেস্ট জিতেছেন। তবে এই সিরিজ জয়ে দলের দুই সিনিয়র ও দুই জুনিয়রের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই গর্বিত অধিনায়ক বলছেন, “চেন্নাই টেস্টে রোহিতের আক্রমণাত্মক ইনিংসের জন্য ম্যাচ আমাদের দখলে চলে আসে। শুধু তাই নয়, সেই ইনিংস সিরিজের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অশ্বিন তো পুরো সিরিজে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। ও আমার দলের স্পেশাল খেলোয়াড়। তবে পন্থ, সুন্দর, সিরাজকে নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী। ওদের লড়াকু মনোভাবে মুগ্ধ হয়েছি। একইসঙ্গে ওদের পারফরম্যান্স বুঝিয়ে দিয়েছে যে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ খুবই শক্তিশালী।”
এত দিন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল নিয়ে আলোচনা হলেই এড়িয়ে যেতেন বিরাট। তবে এ বার কিন্তু তিনিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটের ফাইনালকে পাখির চোখ করছেন। সেটা স্বীকার করে কোহালি বলে দিলেন, “২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের কথা শুনলেই অবিশ্বাস্য মনে হত। তবে এ বার আমাদের সেই লক্ষ্যের দিকে এগোতে হবে।”