জয়ের পর এক ফ্রেমে বিরাটের ভারত। ছবি - বিসিসিআই
সম্প্রতি বিরাট কোহলীদের ক্রিকেট মানেই সিরিজে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে জেতা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে সেটা হল না। তিন ম্যাচের সিরিজে জিতে শুরু করল ভারত। এই পরিবর্তনটাই সবথেকে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে অধিনায়ককে।
ম্যাচের শেষে সেটা নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিলেন বিরাট। বললেন, “গত কয়েকটা সিরিজে আমরা প্রথম ম্যাচ হারলেও সিরিজ জিতেছি। এতে অবশ্যই বোঝা যায় আমাদের দলের তাগিদ অনেক বেশি। কিন্তু একটা দল কতটা শক্তিশালী সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার সেরা উপায় হল শুরু থেকেই আক্রমণ করা। এই ম্যাচে সেটাই হল। দলের সবার মধ্যে এই খিদে দেখতে চেয়েছিলাম। তাই আমার মতে গত কয়েক মাসের মধ্যে এটা অন্যতম সেরা জয়। এই জয় আলাদা অনুভূতি যোগাবে।”
তিন ধরণের ক্রিকেটেই এই দলে একাধিক ম্যাচ জেতানোর লোক রয়েছেন। সেটা গত কয়েক মাসে টিম ইন্ডিয়ার ফল দেখলেই বোঝা যায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সফরেও এর প্রমাণ বারবার মিলেছে। তাই কোহলী বললেন, “বিশেষ করে শিখরের (ধওয়ন) কথা বলব। টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ না পেলেও মনমরা হয়ে বসে থাকেনি। একজন সিনিয়র সদস্য হয়েও প্রয়োজনে জল পর্যন্ত বয়েছে। এতেই বোঝা যায় ও কত বড় টিম ম্যান। টি- টোয়েন্টির পর এখানেও শার্দূল ঠাকুর ও ভুবনেশ্বর কুমার অনবদ্য। ক্রুণাল পান্ড্য, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রথম সুযোগ পেয়েই জাত চেনাল। কে এল রাহুল গত সিরিজে রান না পেলেও একদিনের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দারুণ কিপিং করল। রোহিত বরবারের মতো অনবদ্য। আমাদের দলে প্রত্যেক বিভাগে একাধিক ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় আছে। এমন সুস্থ প্রতিযোগিতা দলের জন্য সব সময় ভাল।”
তবে শিখর ধওয়ন শুরুটা ভাল না করলে এই ম্যাচে ভারত কিন্তু বড় রান করতে পারত না। ইংরেজদের বিরুদ্ধে গত টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাত্র একটা ম্যাচ খেলেছিলেন। একদিনের সিরিজেও শেষ বার শতরান করেছিলেন গত বিশ্বকাপে। ওভালের সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৭ রান করেছিলেন। যদিও এ দিন ১০৬ বলে ৯৮ রানে ফিরলেন। তবে এতে শিখর মন খারাপ করছেন না। বরং বললেন, “দলের প্রয়োজনে রান কাজে লেগেছে, দল জিতেছে এটাই তো বড় কথা। গত কয়েকটা ম্যাচ না খেললেও ফিটনেস ও ব্যাটিং অনুশীলনে একফোঁটাও ফাঁক রাখিনি। সেই পরিশ্রমের মূল্য পেলাম। আসলে আমি সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে চলতে চাই। তাই দলের প্রয়োজনে জল বইতেও লজ্জা পাই না।”