দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের ৬ উইকেট সত্ত্বেও চাপে রয়েছে ভারত। ছবি পিটিআই
তৃতীয় দিনের শেষেই বোঝা গিয়েছিল ভারতের হাত থেকে কার্যত প্রথম টেস্ট বেরিয়ে গিয়েছে। চতুর্থ দিনের শেষে সেটাই আরও স্পষ্ট। অলৌকিক কিছু না ঘটলে ভারতের এই টেস্ট জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে এখন যা অবস্থা, তাতে বিরাট কোহালিদের লড়তে হবে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য। চতুর্থ দিন রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর ৩৯/১। ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (১৫) এবং চেতেশ্বর পূজারা (১২)।
আগের দিন ২৫৭/৬ নিয়ে শুরু করে চতুর্থ দিন কতক্ষণ লড়তে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ওয়াশিংটন সুন্দর, আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর চোখ ছিল সে দিকেই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দু’জনেরই ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আগে রয়েছে। সে ভাবেই শুরু থেকে জফ্রা আর্চার, জেমস অ্যান্ডারসন, ডম বেসদের সামলে লড়ে যাচ্ছিলেন তারা। চতুর্থ দিন ৫০ রান যোগ করে ফিরলেন অশ্বিন।
প্রত্যাশামতোই এরপরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের পক্ষেও দীর্ঘক্ষণ উইকেটে টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। হয়ওনি। একদিকে সুন্দর ধরে রাখলেও অপরদিকে শাহবাজ নাদিম, ইশান্ত শর্মারা টলমল করছিলেন। শেষমেশ ৩৩৭ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
ফলো-অন করে ভারতকে আরও সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারতেন জো রুট। কিন্তু ৯৬ ওভার বল করার পর বোলারদের বিশ্রাম দিতেই তিনি সম্ভবত ফলো-অন করানোর ভাবনা থেকে সরে আসেন। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই ঝটকা দিয়েছিলেন অশ্বিন। ইনিংসের শেষ পর্যন্তও সেই তীক্ষ্ণতা বজায় রাখলেন। একমাত্র জস বাটলার-ডম বেসের জুটি ছাড়া আর কোনও জুটিকে ভাঙা নিয়েই ভাবতে হয়নি বিরাট কোহালিকে।
লাল মাটির পিচের অবস্থা চতুর্থ দিনে ইতিমধ্যেই বেশ খারাপ। বল যে দিকে সে দিকে ঘুরছে, আচমকা নিচু হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোহালিদের সামনে ম্যাচ বাঁচানো ছাড়া আর হয়তো কোনও উপায় নেই। ধারাভাষ্যকার থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, এই পিচে ৪২০ রান তাড়া করে জেতা কার্যত অসম্ভব। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ম্যাচ বাঁচানো বা বড় রান তাড়া করে জেতা, দুই-ই দেখিয়েছে ভারত। কিন্তু সেখানে পিচে কোনও জুজু ছিল না। চিপকের পিচ দ্বিতীয় দিন থেকেই ক্ষইতে শুরু করেছে। তার উপর পঞ্চম দিনে নতুন বল নিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন জ্যাক লিচ এবং ডম বেস।
কোহালিদের কাছে তাই ১-০ এগিয়ে যাওয়া কার্যত দিবাস্বপ্নই মনে হচ্ছে।