টেস্ট সিরিজে দুরমুশ করার পর এ বার লক্ষ্য টি২০ সিরিজ। ৫ ম্যাচের সিরিজের সবকটিই হবে আমদাবাদে। টি২০ বিশ্বকাপের আগে দুই দলের কাছেই এই সিরিজ মহাগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সিরিজের দল বাছাই নিয়ে কিছুটা চিন্তায় থাকবে ভারতের থিঙ্কট্যাঙ্ক। কাকে ছেড়ে কাকে রাখা হবে দলে? মিডল অর্ডারে কি জায়গা হবে লোকেশ রাহুলের? না কি পন্থের আগমনে তাঁকে বাইরে রেখেই নামবে দল? স্পিন অস্ত্রে ইংরেজদের ফের কাবু করতে কি দলে থাকবেন ৩ স্পিনার? দেখে নেওয়া যাক শুক্রবারের ম্যাচে কেমন হতে পারে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ।
রোহিত শর্মা: টেস্ট সিরিজে যখন প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন, হিটম্যান কিন্তু রান করে গিয়েছেন নিয়মিত। টি২০ সিরিজে ফের ধ্বংসাত্মক মেজাজেই তাঁকে চাইবে দল।
শিখর ধওয়ন: বাঁহাতি, ডানহাতি জুটিতে বিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই ২ জনের জুটি অব্যর্থ। তাই শুরুতে রোহিত, শিখর জুটিই ভরসা ভারতের।
বিরাট কোহলী: বহু দিন শতরান নেই তাঁর ব্যাটে। টেস্ট সিরিজেও রান পাননি সেই ভাবে। তবু তিনি বিরাট কোহলী। নিজের দিনে অনেক বড় প্রতিপক্ষকেও চুপ করিয়ে দিতে পারেন এক নিমেষে।
লোকেশ রাহুল: ছন্দে রয়েছেন রাহুল। ওপেনিংয়ে তাঁকে জায়গা দেওয়া না গেলেও, মিডল অর্ডারে দেওয়া যেতেই পারে। সূর্যকুমাররা প্রথম একাদশে ঢোকার জন্য কড়া নাড়ছেন। রয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও। তবে বহু যুদ্ধের নায়ক রাহুলকে বসিয়ে রাখা কঠিন।
হার্দিক পাণ্ড্য: অনুশীলনে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন, তাও আবার বলের দিকে না তাকিয়ে। এমন বিধ্বংসী ক্রিকেটার যে কোনও সময়ই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। বল করতে না পারলেও ব্যাট হাতে হার্দিক থাকছেনই।
ঋষভ পন্থ: সাদা বলের ক্রিকেটে ফের সুযোগ পন্থের সামনে। লাল বলের খেলায় তিনি সফল। এ বার সুযোগ নীল জার্সিতেও নিজের জায়গা পাকা করার। টি২০-তে এত দিন রাহুলকে দিয়ে উইকেটরক্ষণের কাজ করাত ভারত। পন্থ ফেরায় তিনিই থাকবেন সেই দায়িত্বে।
ওয়াশিংটন সুন্দর: ব্যাটে, বলে পারদর্শী এই অলরাউন্ডারকে ভারত যেন নতুন ভাবে চিনল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে বল হাতে তাঁকে খুব বেশি প্রয়োজন হয়নি। তবু দল থেকে বাদ দেওয়া যায়নি ব্যাটিংয়ের জন্য। টি২০-তেও তাঁর সামনে সুযোগ আসতেই পারে।
অক্ষর পটেল: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছে তাঁর। একের পর এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন সাহেবদের মনে। সেই আতঙ্ক ফিরিয়ে আনতে পারবেন টি২০-তেও?
ভুবনেশ্বর কুমার: সুস্থ ভুবি। তাঁর সুইং চিন্তায় ফেলতে পারে ইংল্যান্ডকে। ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বিরাটদের।
যুজবেন্দ্র চহাল: টেস্ট দলে জায়গা না পেলেও, টি২০ ক্রিকেটে তিনি অপরিহার্য। আমদাবাদের পিচে তাঁর স্পিনের যাদু বিপদে ফেলতে পারে ইংল্যান্ডকে।
শার্দূল ঠাকুর: চোট নটরাজনের। ভুবির সঙ্গী হতে পারেন শার্দূল। টি২০ বোলার হিসেবে বেশ সফল তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তিনি সফল হতে পারেন কি না সেই দিকেই থাকবে নজর।