চেন্নাইয়ের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মারমুখী পন্থ। ছবি: টুইটার থেকে
চেন্নাইয়ের মাঠে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ২৫৭/৬। দিনের শেষে আরও খারাপ কিছু দেখার আশঙ্কা ছিল ভারতীয় সমর্থকদের। চেতেশ্বর পূজারা এবং ঋষভ পন্থের ১১৯ রানের জুটি তা হতে দেয়নি। তৃতীয় দিনের শেষে কিছুটা এগিয়ে রইল ইংল্যান্ডই।
ঘরের মাঠে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এমন অবস্থা হবে আশা করেননি কেউই। দিনের খেলা শুরুর ১০.১ ওভারের মধ্যেই ইংল্যান্ডের ইনিংস থামিয়ে দেন যশপ্রীত বুমরারা। প্রথম ইনিংসে জো রুটরা করেন ৫৭৮ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জফ্রা আর্চারের বলে ফিরে যান রোহিত শর্মা। ইংরেজ পেসারের গতির সামনে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় ভারতীয় ওপেনারকে। উইকেটকিপার জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত (৯ বলে ৬ রান)।
ভাল শুরু করেছিলেন অন্য ওপেনার শুভমন গিল। দ্রুত রান তুলছিলেন তরুণ ওপেনার। ২৮ বলে ২৯ রান করে তিনি ফেরেন জেমস অ্যান্ডারসনের দুরন্ত ক্যাচে। ৩৮ বছর বয়সেও যে ভাবে শরীর ছুড়ে ক্যাচ নিলেন তিনি, তা সত্যিই শেখার মতো তরুণদের জন্যেও। শুভমনের দুর্ভাগ্য এমন দুরন্ত ক্যাচে তাঁর ইনিংস থেমে গেল। বিরাট কোহালির থেকে বড় ইনিংস আশা করছিলেন সমর্থকরা। বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বিরাট করলেন ৪৮ বলে ১১ রান। ইংরেজ স্পিনার ডোম বেসের বলে আউট হন তিনি। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অজিঙ্ক রাহানেও (৬ বলে ১ রান)।
৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতকে কিছুটা অক্সিজেন দেন চেতেশ্বর পূজারা এবং ঋষভ পন্থ। তাঁদের জুটি দ্রুত রান তোলার দিকে নজর দেয়। অন্য দিনের থেকে বেশ কিছুটা দ্রুত রান তুলছিলেন পূজারাও। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পূজারা (১৪৩ বলে ৭৩ রান)। পূজারার মারা বল শর্ট লেগে দাঁড়ানো অলি পোপের গায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় জ্যাক লিচের হাতে। রবিবার লিচের শনি হয়ে উঠেছিলেন পন্থ। ইংরেজ স্পিনার রবিবার ১৭ ওভার বল করে ৯৪ রান দিয়েছেন, যার মধ্যে অনেকটাই এসেছে পন্থের ব্যাট থেকে। বাঁহাতি স্পিনারকে পন্থ একের পর এক ছয় মারেন। ৮৮ বলে ৯১ রান করে আউট হওয়ার আগে পন্থ মেরেছেন ৯টি চার এবং ৫টি ছয়। মারতে গিয়ে বেসের বলে সেই লিচের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন পন্থ। শতরান মাঠে ফেলে এলেন তিনি।
পন্থ ফিরতে রানের গতি কমে যায় ভারতের। ওয়াশিংটন সুন্দর (৬৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫৪ বলে ৮ রান করে অপরাজিত) ক্রিজে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট নেন বেস এবং ২ ভারতীয় ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন আর্চার।