সিডনিতে দুরন্ত ইনিংস কোহালির।
দুরন্ত ফর্মে থাকা হার্দিক পাণ্ড্য সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ২০ রান করেছেন। তবু অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইট ওয়াশ করার ব্যাপারে তাঁর ওপরই সবথেকে বেশি ভরসা করেছিলেন বিরাট কোহালি।
ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকেই ভারত অধিনায়ক ক্রিজে ছিলেন। ১৮৭ রান তাড়া করতে গিয়ে তিনি ৬১ বলে ৮৫ রান করে ১৯-তম ওভারে আউট হন। শেষ ম্যাচে হারার পর কোহালি বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ঝুঁকি নেওয়ার খেলা। হার্দিক যখন ভাল খেলছিল, তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ বেরিয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে গেল। আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটিংয়ের সময় মাঝের ওভারগুলোতেই আমরা হেরে যাই। আমাদের যদি একটা ২৫-৩০ রানের পার্টনারশিপ হত, তাহলেই ম্যাচ অন্যরকম হত। তখন হয়ত হার্দিক এমন একটা জায়গায় নামত, যখন জেতার জন্য ৬০-এর কম রান বাকি, ৮০-র ওপর নয়।’’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে খুশি কোহালি। বলেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আমরা এই বছর ভালই করেছি। বছরের শেষে এসে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পেরে ভাল লাগছে।’’ সিডনিতে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল অস্ট্রেলীয় সরকার। কোহালি বলেন, ‘‘আমরা দর্শকদের সামনে যে খেলতে পেরেছি, সেটা ভেবেও ভাল লাগছে। সত্যিই দর্শকদের দরকার হয়। এতে কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা বাড়তি অনুপ্রাণিত হই।’’
আরও পড়ুন: রিভিউ বিতর্ক, ফিল্ডিং ব্যর্থতা, সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রাপ্তি শুধুই বিরাট
১৭ ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের পিঙ্ক বল টেস্ট শুরু হচ্ছে। তার আগে শুক্রবার থেকে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ। কোহালি প্রস্তুতি ম্যাচে অনিশ্চিত। টানা খেলার জন্য দিন-রাতের প্র্যাকটিস ম্যাচে খেলবেন কিনা, এখনও ঠিক করেননি। বলেন, ‘‘কাল সকালে ঠিক করব ট্যুর ম্যাচ খেলব কিনা। তার আগে ফিজিয়োর সঙ্গেও কথা বলতে হবে।’’
সিরিজ সেরা পাণ্ড্য বলেন, ‘‘এটা পুরোটাই দলগত জয়। আমরা দ্বিতীয় ম্যাচের পর ঠিক করেছিলাম, এটাকে চার ম্যাচের সিরিজ হিসেবে দেখব। সেটাই করেছি।’’ টেস্ট সিরিজে তিনি দলে নেই। ফলে এবার দেশে ফিরবেন তিনি। মন খারাপ লাগলেও অনেকটা স্বস্তিও পাচ্ছেন। বলেন, ‘‘এবার একটু পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারব। চার মাস হয়ে গেল ওদের দেখিনি। টেস্টে খেলতে পারলে ভাল হত। হয়ত ভবিষ্যতে কোনও দিন খেলব।’’