ভারতের গত অস্ট্রেলিয়া সফরে এ ভাবেই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়েছিলেন কোহালি-পেন। ছবি: রয়টার্স।
ভারতীয়দের স্লেজিংয়ের জবাবে পাল্টা মন্তব্য নয়, থাকবেন চুপ করে। চেষ্টা থাকবে উপেক্ষা করার। প্ররোচনায় পা দেবেন না, জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে তাঁকে যে মানসিক ভাবে উত্যক্ত করার চেষ্টা চলবে, তা আগাম অনুমান করছেন ওয়ার্নার। আর তাই সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, “ভারতে যখন গত বার গিয়েছিলাম ওরা আমাদের এ ভাবেই ব্যস্ত রাখত। আমরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখেছি, বিশেষ করে আমি শিখেছি যে উড়ে আসা কথাবার্তা উপেক্ষা করলেই তা পাল্টা ফিরিয়ে দেওয়া যায়। তাই ওই কথাবার্তা হজম করে ব্যাটকে কথা বলানোর চেষ্টা করব।”
ব্যঙ্গ-বিদ্রুপকে মোটিভেশন হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। বলেছেন, “এক বার ধৈর্য হারালে, রেগে গেলে তা সতীর্থদের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তা তো জানা নেই। তাই একটু নম্র থাকাই ভাল। বিপক্ষের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল থাকাই শ্রেয়।”
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় দলে ও কেন নেই বুঝতে পারছি না’, সূর্যকে নিয়ে এ বার সরব লারা
আরও পড়ুন: কোহালির অনুপস্থিতি ভারতীয় দলে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করবে, বললেন চ্যাপেল
২০১৮ সালে বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন ওয়ার্নার। তাঁর মানসিকতার পরিবর্তনের নেপথ্যে সেটাকেই দেখছে ক্রিকেটমহল। স্বয়ং ওয়ার্নার যদিও বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতাকে সামনে আনছেন। তাঁর কথায়, “বাচ্চারা যখন কথা শোনে না, তখন ধৈর্য দেখাতেই হয়। খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ারও উপায় নেই, রেগে গেলেও চলে না। আমাকে আসলে মাঠে ও মাঠের বাইরে পরীক্ষায় বসতে হয়।”
টেস্ট সিরিজে সঙ্গী ওপেনার হিসেবে জো বার্নসকে পছন্দ তাঁর। ওয়ার্নারের যুক্তি, “আমি ক্রিজে বার্নসের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। জানি ব্যাট করতে গেলে ঠিক কী করতে হবে। তা ছাড়া গত বছর আমরা অনেক ম্যাচও জিতেছি। তাই যেটা কাজে আসছে সেটা না ভাঙাই ভাল।”
এক সময় অস্ট্রেলিয়ার স্লেজিংকে ভয় পেত গোটা পৃথিবী। আর আজ সেই অস্ট্রেলিয়ারই এক ব্যাটসম্যান ভারতীয়দের স্লেজিং নিয়ে সাবধান থাকার কথা বলছেন।