রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামতে হবে সেই সিডনির মাঠেই। যে মাঠে ভারতীয় বোলারদের নির্মম ভাবে মেরে রান তুলেছেন অজি ব্যাটসম্যানরা, সেই মাঠেই এক দিনের ব্যবধানে নামবে বিরাট বাহিনী। কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ? বোলিং অ্যাটাকে আনা হবে পরিবর্তন? দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। আইপিএল-এর ফর্ম ধরে রাখতে সফল ‘গব্বর’। প্রথম ম্যাচে ময়াঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে ভাল শুরুও করে ছিলেন। মাঝের ওভারে হার্দিক যখন সংহার মূর্তি ধারণ করেছিলেন, তিনি পালন করে যাচ্ছিলেন অ্যাঙ্করের কাজ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি দেখার অপেক্ষায় থাকবে ভক্তরা।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল: শিখরের সঙ্গে শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু বেশি ক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ক্রিজে। আরও একটা সুযোগ তিনি পেতেই পারেন। তবে মনে রাখতে হবে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে রয়েছেন শুভমন গিল।
বিরাট কোহালি: অধিনায়কের ব্যাট থেকে বড় রান চাইবে দল। সিডনির মাঠে যখন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ শতরান করে ফেলেছেন, বিরাটের সামনেও কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিজেকে প্রমাণ করার। বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ২ ব্যাটসম্যানের লড়াইও যে চলছে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে।
শ্রেয়াস আইয়ার: বিরাট, ময়াঙ্ক ফেরার পর তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল দল। মঞ্চ তৈরি ছিল বুঝিয়ে দেওয়ার যে ভারতের ৪ নম্বর জায়গাটার মালিক শুধু তিনিই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি শ্রেয়াস। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে, যদিও সঞ্জু স্যামসন, মণীশ পাণ্ডেরা কিন্তু রয়েছেন সুযোগের অপেক্ষায়।
লোকেশ রাহুল: প্রথম ম্যাচে তাঁকে অনেক পরে নামানো হয়েছিল। তবে দল চাইলে ওপেনও করতে পারেন তিনি। এমন এক জন ক্রিকেটারকে দলের বাইরে রাখতে চাইবে না বিরাট বাহিনী।
হার্দিক পাণ্ড্য: ব্যাট হাতে তাঁর ঝোড়ো ৯০ রান আশা দেখিয়েছিল দলকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বল করতে না পারায় ভুগতে হয়েছে দলকে। তবে ব্যাটসম্যান হার্দিককে বসানোর কথা ভাবাই যাবে না।
রবীন্দ্র জাদেজা: তাঁর বলে কোনও বিষ ছিল না প্রথম ম্যাচে। ব্যাট হাতে এমন সময় নেমেছেন যখন খুব বেশি কিছু করে দেখানোর সুযোগ হয়তো ছিল না। কিন্তু তাঁর মতো এক জন প্রতিভাশালী ক্রিকেটারের থেকে অনেক বেশি আশা করে ভারত। রিজার্ভ বেঞ্চে আরেক বাঁ হাতি স্পিনার কুলদীপ থাকলেও ব্যাটিংয়ের জন্য দলে জাদেজার জায়গা পাকা বলাই যায়।
নবদীপ সাইনি: বল হাতে আরও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে হবে তাঁকেও। নটরাজন কিন্তু বসে রয়েছেন ড্রেসিংরুমে। আইপিএল-এ তাঁকে বেশ বেগ দিতে দেখা গিয়েছে ব্যাটসম্যানদের। নিজের জায়গা ধরে রাখতে সাইনিকে পরের ম্যাচে কিন্তু উইকেট নিতেই হবে।
মহম্মদ শামি: গত ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট তিনিই নিয়েছেন। কিন্তু রান আটকাতে পারেননি। যখন উইকেট নিতে শুরু করেছেন, তখন বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে। শুরুতেই উইকেট নিতে না পারলে দলকে কিন্তু ভুগতে হবে।
যুজবেন্দ্র চহাল: তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা যে ভাবে মেরেছেন তাতে তাঁর দলে জায়গা পেতে মুশকিল হতেই পারত। কিন্তু বাঁ হাতি কুলদীপকে দলে নিলে ডান হাতি কোনও স্পিনার থাকবে না দলে। সেটা দলের পক্ষে ঠিক হবে কি না বলা কঠিন। কী ভাবছে টিম ইন্ডিয়া তা বোঝা যাবে রবিবারই।
যশপ্রীত বুমরা: দলের প্রধান বোলার দাগ কাটতেই পারলেন না প্রথম ম্যাচে। তাঁকে অনায়াসে খেলে গেলেন ফিঞ্চরা। দল থেকে তাঁর বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে দলের প্রয়োজনে তিনি উইকেট তুলতে না পারলে কিন্তু মুশকিল টিম ইন্ডিয়ার।