আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এমন ছবি দেখা যাবে না, বলেছেন অজি কোচ ল্যাঙ্গার। ছবি: পিটিআই।
ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে অসম্মানজনক কথাবার্তা বা গালাগালি একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না। জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। আগের স্লেজিং জমানা অনেক পিছনে ফেলে এসেছে তাঁর দল, দাবি করছেন তিনি।
এর আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়া যখনই ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হয়েছে, উত্তেজনার ফুলকি ছিটকে এসেছে। বেড়েছে তিক্ততা। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার তো বলেই দিয়েছেন যে ভারতীয় দল তাঁকে স্লেজিংয়ের মাধ্যমে প্ররোচিত করার চেষ্টা করবে। তবে তিনি সেই ফাঁদে পা দেবেন না বলেও জানিয়েছেন। অজি কোচ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর দলের ক্রিকেটাররা ক্রিকেটীয় স্পিরিটের বাইরে যাবেন না কোনও মতেই।
ল্যাঙ্গার বলেছেন, “ঠাট্টা-তমাশার অনেক জায়গা আছে। যাতে মজা হয় এবং লড়াকু মনোভাবও জিইয়ে থাকে। কিন্তু, গালাগাল বা অসম্মান করার কোনও জায়গা নেই।” দলের সংস্কৃতি পাল্টে গিয়েছে বলে দাবি করে অজি কোচ বলেন, “গত কয়েক বছরে আমাদের দেখলেই এটা ধরা পড়বে। আমরা মাঠে ও মাঠের বাইরে নিজেদের আচরণ নিয়ে খেটেছি।”
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে নয়, ক্যাপ্টেন হিসাবে দুর্দান্ত এই রেকর্ডের সামনে কিং কোহালি
আরও পড়ুন: আইপিএল-এ নবম দল এলে ভাগ্য ফিরতে পারে এই ৭ ক্রিকেটারের
তবে তার মানে মাঠে যে সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ হাওয়া বইবে, তা একেবারেই নয়। ভারতের গত সফরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেনের সঙ্গে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির উত্তেজিত ব্যাকালাপের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ল্যাঙ্গার বলেছেন, “বিরাট যা করে তা আমাদের ভাল লাগে। তার মধ্যে দুর্দান্ত রসিকতা বোধ থাকে। নাটুকেপনাও মিশে থাকে।”
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গী নির্বাচনে রক্ষণশীল মনোভাব নেওয়ার কথাই শুনিয়েছেন ল্যাঙ্গার। বলেছেন, “উইল পুকোভস্কি সম্পর্কে উচ্চ ধারণা রয়েছে আমাদের। ওর বিশাল প্রতিভা। সুযোগ এলে ও ঠিক টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। এই সিরিজেও সেই সুযোগ আসতে পারে, আবার পরের সিরিজেও আসতে পারে।” তাঁর ইঙ্গিতেই পরিষ্কার, জো বার্নসই সম্ভবত ওপেনিংয়ে সঙ্গী হবেন ওয়ার্নারের।
কোভিড অতিমারিতে বিধ্বস্ত জনজীবনে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে এক ঝলক খোলা হাওয়া হিসেবে দেখছেন ল্যাঙ্গার। তাঁর মতে, “ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার খেলা দুর্দান্ত বিনোদন হতে চলেছে। আশা করি, এটা কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। আর সেই বৃহত্তর ছবির দিকেই আমরা তাকিয়ে।”