অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১০০ রানে উড়িয়ে দেওয়ার পর এ বার দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষ পাপুয়া নিউ গিনি। এই ম্যাচে জিতে মঙ্গলবারই নক-আউট পর্বের রাস্তা পাকা করে ফলতে চাইছেন ভারতের অধিনায়ক পৃথ্বী শ।
প্রথম ম্যাচে চোট পাওযার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অনিশ্চিত ভারতীয় দলের পেসার ঈশান পোড়েল। তবে নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে প্রথম ম্যাচে দুরন্ত গতিতে বল করেছেন দলের বাকি পেসাররা। শিবম মাভি ও কমলেশ নগরকোটির পেস নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। তারই সঙ্গে দলের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের ফর্মই বিপক্ষের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে ভারতকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯৪ রান করে আউট হয়েছেন ভারত অধিনায়ক পৃথ্বী। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সুযোগ আর নষ্ট করতে চাইবেন না ভারতীয় অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জেতার পর সেই কথাই বলেছিলেন তিনি। পৃথ্বী বলেছেন, ‘‘টুর্নামেন্টের শুরুতেই এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ম্যাচের প্রথম বল থেকেই আমাদের নীতি একদমই পরিষ্কার ছিল। ভাল বলকে সম্মান করব এবং খারাপ বলকে মারব। মনজ্যেতও সেই কাজটাই করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা পেয়েছি। আশা করছি পরের ম্যাচে সেই ভুলগুলো শুধরে নেব।’’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জিতলেও প্রায় তিনটি ক্যাচ পড়ছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে নামার আগে সেই জায়গা গুলোর উপরেই মনোনিবেশ করতে চাইবেন ভারতীয় অধিনায়ক।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিন বার জয়ী ভারত। অন্য দিকে পাপুয়া নিউ গিনির এটা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। গ্রুপ ‘বি’-র প্রথম ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৯৫ রানে অল-আউট হয়েছিল পাপুয়া নিউ গিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ ওভারে বিনা উইকেট হারিয়ে রান তুলেছেন জিম্বাবোয়ের ব্যাটসম্যানরা।
ভারতের বিরুদ্ধে তাই বিশ্বকাপে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে মরিয়া থাকবেন পাপুয়া নিউ গিনির ক্রিকেটাররা। গত বারও ফাইনালে উঠেছিল ভারত। অথচ সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল তাদের। তাই গত বারের যন্ত্রণা ভুলে এ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য থাকবে রাহুল দ্রাবিড়ের। ভারতের সামনে তাই পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে এই ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি জিততে পারলেই নক-আউট পর্যায়ের রাস্তা পাকা করে ফেলতে পারবেন পৃথ্বী শ-রা।