ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিল টেস্টের সেরা দল হিসেবে। বুধবার সাদাম্পটনের মাঠে হেরে সেই তাজ খোয়ালেন বিরাট কোহলীরা। তবে এটাই প্রথম নয়। ২০১৪ সাল থেকে বার বার তীরে এসে তরী ডুবেছে ভারতের।
২০১৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপ। সেমি ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিলেও ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয় ভারতকে। যেন ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলা নিয়েছিলেন কুমার সঙ্গকারারা।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ। সে বারে হারতে হয় সেমিফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয় ভারতকে। স্টিভ স্মিথের শতরানে ভর করে ৩২৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৩৩ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপ। আবার সেমিফাইনালে ভারত এবং ফের হার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল সে বার। প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রান করে ভারত। ৪৭ বলে ৮৯ রান করেন কোহলী। কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়ে যায় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের সামনে। জনসন চার্লস করেন ৬২ বলে ৯৭ রান।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফাইনালে হারতে হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্যাট করে ফাখার জামানের ১১৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৩৮ রান করে পাকিস্তান। সেই তাড়া করতে নেমে যেন চাপ নিতেই পারলেন না কোহলীরা। ১৫৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ। সেই হারের স্মৃতি যেন বুধবার আবার উসকে দিল নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের মাটিতে সে বার ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের লড়াই ছিল সেমিফাইনালে। বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটিয়েছিল সে বারেও। উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে হেরে যায় ভারত।
মার্টিন গাপ্টিলের থ্রো কেড়ে নেয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উইকেট। ১৮ রানে হারতে হয় ভারতকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটাই শেষ ম্যাচ ধোনির।
বুধবার ফের একটা ফাইনালে হার। টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। কুলীন ক্রিকেটে সেরা হওয়ার লড়াই। সেই ফাইনালেও পারলেন না কোহলীরা।
একের পর এক আইসিসি-র ফাইনাল অথবা সেমিফাইনালে হার। মনে করিয়ে দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার চোকার্স তকমার কথা। ভারতের ক্রিকেট সমর্থকরা তীব্র প্রতিবাদ জানাতেই পারেন, তবে ইঙ্গিত কিন্তু সেই দিকেই।