India

সাইনির উত্থান, রাহুলের ছন্দ দেখাচ্ছে বিশ্বকাপ-স্বপ্ন

রবিবারেও ১১ ওভারে ১০০ রান তুলতে হবে, এই জায়গা থেকে দশম ওভারে নিউজ়িল্যান্ড এক লাফে ম্যাচ জেতার দিকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১২
Share:

জুটি: কোহালির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে রাহুলের টুইট, ‘‘ভাগ্যবান।’’

প্রত্যাশিত ছন্দেই নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ সাত রানে জিতে ৫-০ শেষ করল ভারত। বিদেশের মাঠে ভারতের এই ফল নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের। পাশাপাশি, এই ঐতিহাসিক সাফল্যের ফলে বুধবার থেকে শুরু হতে ওয়ান ডে সিরিজেও আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় থেকে নামতে পারবে ভারত।

Advertisement

বিদেশের মাঠে ভারতের এই স্মরণীয় সিরিজ জয়ের মাঝেও আমি বলব, নিউজ়িল্যান্ড কিন্তু শেষ তিনটি ম্যাচেই সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও হেরেছে। আমার মতে, এর কারণ ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসনের মতো তিন প্রথম সারির বোলার ও জিমি নিশামের মতো অলরাউন্ডার না থাকায় দলটা ভারসাম্য হারিয়েছে।

রবিবারেও ১১ ওভারে ১০০ রান তুলতে হবে, এই জায়গা থেকে দশম ওভারে নিউজ়িল্যান্ড এক লাফে ম্যাচ জেতার দিকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি যশপ্রীত বুমরা, নবদীপ সাইনির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পড়ে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মাহির ফেরা সহজ হবে না, ধারণা কপিলের

ঠিক কী হয়েছিল নিউজ়িল্যান্ড ইনিংসের ওই দশম ওভারে? বোলার ছিল শিবম দুবে। ব্যাট করছিল রস টেলর ও টিম সেইফার্ট। যাদের দু’জনেই অন সাইডে পোক্ত। ওদের সেই ‘কমফোর্ট জ়োনে’ বল করে করে গেল এই মুম্বইকর অলরাউন্ডার। তাই মিড উইকেট, মিড অন ও ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে চার-ছক্কা মেরে সেই ওভারে ৩৪ রান তুলে খেলাটা নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিল টেলরেরা। এই সময়ে শিবম যদি অফ স্টাম্পের বাইরে ওদের কাট করার বল দিত, তা হলে কিন্তু এত রান উঠত না। শিবমের বোলিং বুদ্ধি খুব উচ্চমানের নয়। ছেলেটার হাতে না আছে ইয়র্কার, না অফস্টাম্পের বাইরে বল রেখে নড়াচড়া করাতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে শিবমকে দেখলে অবাকই হব।

আরও পড়ুন: দেশে শেষ লড়াই, আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান লি

বেচারা রোহিত শর্মা। পায়ের পেশিতে চোটের জন্য ওয়ান ডে ও টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেল। কিন্তু রবিবার ৪১ বলে ৬০ রান করে অবসৃত হওয়ার আগে চেনা ছন্দেই ‘থ্রি কোয়ার্টার বল’ সামনের পায়ে গিয়ে পুল করে মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছিল। এতে বোঝা যায়, সময়জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাসকে কোন মাত্রায় ধরে রেখেছে ও। কে এল রাহুল এই মুহূর্তে সেরা ছন্দে খেলছে। ওর স্কোয়ার কাট কিংবা ব্যাকফুট ড্রাইভ দু’চোখ ভরে দেখার মতো।

উল্লেখ করব বুমরার কথাও। চোট সারিয়ে ভারতীয় দলে ফিরে রোজ মাঠে ইয়র্কারের প্রদর্শনী দেখাচ্ছে। এতে বোঝা যায়, বুমরা রয়েছে বুমরাতেই। রবিবার নিউজ়িল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল এলবিডব্লিউ হল বুমরার গতিতে পরাস্ত হয়েই।

এ ছাড়াও প্রাপ্তি আরও দুই জোরে বোলার নবদীপ সাইনি ও শার্দূল ঠাকুর। নবদীপ প্রতি ম্যাচে লক্ষণীয় ভাবে উন্নতি করছে। ওর বলে বৈচিত্র রয়েছে। লাইন ও লেংথটা নিখুঁত। ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা বুঝে ইয়র্কার বা বা বাউন্সার প্রয়োগ করে। আর এক্সপ্রেস গতিটা তো নবদীপের আসল শক্তি। ও কিন্তু দ্রুত ভারতীয় দলের ভরসায় পরিণত হবে। আর শার্দূল বেশি চোখে পড়ছে দ্বিতীয় স্পেলে। ওর অস্ত্র আবার নাকল বল, স্লোয়ার। সব শেষে চহাল। ও কিন্তু লম্বা দৌড়ের ঘোড়া। ওর বল ঘোরে। ব্যাটসম্যানকে ও মারার জায়গা খুব কম দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠে ওকে মারতে গেলে সমস্যায় পড়বে ব্যাটসম্যানই। তাই ৫-০ ফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছে সমর্থকদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement