সাইনা নেহওয়াল। পদকের দিকে আরও এক ধাপ।
প্রথম ছয় দিনে মাত্র ১৫ পদক। যার মধ্যে ১৩টাই ব্রোঞ্জ। সোনা মাত্র এক। সেই প্রথম দিনে পাওয়া! যেখানে ভারতের এ বার লক্ষ্য, এশিয়ার অন্যতম ক্রীড়া-শক্তি হয়ে ওঠা। কিন্তু এশিয়াডের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বাকি থাকতেই বাস্তবে চিন (৭৭ সোনা-সহ ১৫২ পদক), কোরিয়া (২৮ সোনা), জাপানের (২৭ সোনা) চেয়ে কয়েক মাইল পিছনে ভারত।
আজও দিনভর ডজনখানেক বিভিন্ন খেলায় নেমে ভারতীয়দের সংগ্রহ মাত্র তিনটি ব্রোঞ্জ। একটি শু্যটিং রেঞ্জ থেকে আনতে পেরেছে ডাবল ট্র্যাপে মহিলা দল। বাকি দু’টো দাঁড়িদের কল্যাণে। রোয়িংয়ের সিঙ্গল স্কালে ভারতের পুরুষ দল এবং ব্যক্তিগত বিভাগে স্বর্ণ সিংহ, উভয়ই তৃতীয়। ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও আগে পাঠালে কি ভাল হত? পরিবেশের সঙ্গে আরও মানিয়ে নিতে পারলে কি ফল এর চেয়ে ভাল হত? এমনকী সাইনা নেহওয়ালের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা, তিরন্দাজি ও স্কোয়াশে আরও চারটি পদক জেতা নিশ্চিত হওয়াএ দিনের এ সব ভাল খবরও পিছনে পড়ে গিয়েছে।
গেমসের মধ্যেই ওঠা বিতর্কিত প্রশ্ন চাপা দিতে তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল বলেছেন, “দলগুলোকে ঠিক সময়েই ইনচিওন পাঠানো হয়েছে। আশা করি, ভারত আরও সোনা জিতবে। ধৈর্য ধরুন।” পদক তালিকায় পঞ্চদশ স্থানে নেমে যাওয়া ভারতকে অবশ্য দ্বিতীয় সোনা পাওয়ার আশা দিয়েছে তিরন্দাজিতে পুুরুষদের কম্পাউন্ড টিম। অভিষেক বর্মা, রজত চহ্বণ, সন্দীপ কুমারকে নিয়ে গড়া দল এ দিন সেমিফাইনালে তীব্র লড়ে ইরানকে ২৩১-২২৭ হারিয়ে ফাইনালে সংগঠক কোরীয়দের সামনে পড়েছে। ব্যাডমিন্টনেও ইরানি প্রতিপক্ষ সোরায়াকে ২১-৭, ২১-৬ হারিয়ে সাইনা শেষ আটে উঠেছেন। তবে তিরন্দাজদের মতোই সাইনারও পরের লড়াই কঠিন। ষষ্ঠ বাছাই সাইনাকে সেমিফাইনালে উঠে পদক রাউন্ডে ঢোকার জন্য হারাতে হবে দ্বিতীয় বাছাই চিনের ওয়াং ইহানকে। তবে স্কোয়াশের দলগত ইভেন্টে ভারতের কমপক্ষে দু’টো ব্রোঞ্জ নিশ্চিত। কারণ দীপিকা পাল্লিকাল-জোৎস্না চিনাপ্পার দল চিনকে ৩-০ হারিয়ে এবং সৌরভ ঘোষালদের পুরুষ দল জাপানকে একই ফলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠায় পদক নিশ্চিত। দীপিকারা শেষ চারে দক্ষিণ কোরিয়া ও সৌরভরা কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলবেন।