সব আগের মতোই আছে, বেসিন রিজার্ভে পা দিয়ে মনে হল রবি শাস্ত্রীর। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
চার দশক কেটে গিয়েছে! ১৯৮১ সালে এই মাঠেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল। আর এত বছর পর সেই মাঠেই ফিরলেন রবি শাস্ত্রী। তবে এ বার ক্রিকেটার হিসেবে নয়, এলেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে।
মাঠের নাম বেসিন রিজার্ভ। জায়গার নাম ওয়েলিংটন। শাস্ত্রীর ক্রিকেট কেরিয়ারের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পর্ক এই মাঠের। আর তাই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে স্মৃতি ঘিরে ধরছে তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ওয়েবসাইটে চেতেশ্বর পূজারাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, “একই মাঠ, একই ভেন্যু, একই বিপক্ষ, ভাবতেই পারছি না! ড্রেসিংরুমে গিয়ে দেখলাম, কিছুই বদলায়নি। এই বেসিন রিজার্ভেই ৩৯ বছর আগে অভিষেক হয়েছিল আমার। ”
আরও পড়ুন: আর মাত্র ১১ রান! তা হলেই এক কিংবদন্তিকে ছাপিয়ে যাবেন কোহালি
আরও পড়ুন: এ কী লিখলেন উমর আকমল! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড পাক ক্রিকেটার
ফেলে আসা দিনগুলোয় ফিরে গিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “এটা দুর্দান্ত একটা সফর। ৩৯ বছর পর এখানে ফিরে ভাল লাগছে। ভাবিইনি এখানে ভারতের জার্সি পরেই আবার ফিরব। মনে আছে সে বার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছিলাম। বিমানবন্দরে আমাকে নিতে এসেছিলেন প্রয়াত বাপু নাদকার্নি। ভারতীয় দল হাই কমিশনারের ওখানে ছিল। আমাকে সোজা হোটেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। দিলীপ ছিল আমার রুম পার্টনার। কিন্তু ঘরে কেউ ছিল না। পরের দিন সকালে সানি টস হেরেছিল, আমরা ফিল্ডিং করতে নেমেছিলাম। আমাকে সোজা নেমে পড়তে হয়েছিল মাঠে।”
অভিষেকে ওয়েলিংটন টেস্টে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন শাস্ত্রী। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে নেন তিন উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে নয় রানে নেন তিন উইকেট। তবে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল সেই টেস্ট। অকল্যান্ডে পরের টেস্টে তিনি এক ইনিংসে পাঁচ উইকেটের গৌরব অর্জন করেন।
A post shared by Ravi Shastri (@ravishastriofficial) on
শাস্ত্রীর কথায়, “প্রথম টেস্টে নামার সময় যে কোনও ক্রিকেটারের মতোই নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু বোলিংয়ে নিশানায় অভ্রান্ত ছিলাম। জেরেমি কোনির উইকেটের পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। ভারতে বা বিদেশের অন্যত্র যে কন্ডিশনে খেলতে হয়, তার থেকে এখানের কন্ডিশন অন্যরকম ছিল। বাতাস বইছিল। খুব ঠান্ডা ছিল। পলি উমরিগড় তাঁর সোয়েটার আমাকে দিয়েছিলেন। চোখের সামনে দেখছিলাম হ্যাডলি, কেয়ার্নস, জেফ হাওয়ার্ড, রাইট, কোনিদের। এই নামগুলো তখন রেডিয়োতেই শুধু শোনা যেত। তার পর আমার অনেক টিমমেটের সঙ্গেও আগে আলাপ ছিল না। গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ ছিল আমার ছেলেবেলার হিরো। তাই ওর সঙ্গে একটা সিরিজ খেলতে পারায় দারুণ লাগছিল। আর সানি ছিল দলের অধিনায়ক। দলে ছিল কপিল। যখন মাঠে নেমেছিলাম, তখন এদের অর্ধেকের সঙ্গে পরিচিতই হইনি!”
আরও পড়ুন: অপরাধ না জানিয়েই সাসপেন্ড করা হল উমর আকমলকে
আরও পড়ুন: ফিরছেন পৃথ্বী, ঋষভ? দেখে নিন ওয়েলিংটন টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ