২০০৮-এ ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর পর থেকে বিরাট কোহলীকে চিনতে পেরেছিল বিশ্ব। পরের কয়েক বছরে নিজেকে শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
সেই বছরই ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় কোহলীর। তার পরের ১৩টি বছরে তিনি একের পর এক কীর্তি করেছেন।
পরিসংখ্যানের বিচারে তিনি ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক। দেশকে এখনও পর্যন্ত ৬৩টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিতেছেন ৩৭টি ম্যাচে। হার এবং ড্র যথাক্রমে ১৫টি এবং ১১টি ম্যাচে। সাফল্যের হার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে বেশি।
এক দিনের ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। ২৫৪টি ম্যাচে তাঁর রান ১২,১৬৯। শীর্ষে সচিন তেন্ডুলকর (১৮,৪২৬)।
এক দিনের ক্রিকেটে ভারতীয় অধিনায়কদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিচারে যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থানে তিনি। সৌরভ, ধোনি এবং বিরাট তিন জনেরই সর্বোচ্চ রান ১৮৩।
একটি এক দিনের সিরিজে সব থেকে বেশি রান রয়েছে কোহলীর। ২০১৭-১৮ মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি সিরিজে তিনটি শতরান-সহ ৫৫৮ রান করেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের সব থেকে বেশি রান কোহলীর। ৯০ ম্যাচে ৩ হাজার ১৫৯ রান রয়েছে তাঁর। গড় ৫০-এর উপরে। ২৮টি অর্ধশতরানও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক শতরানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কোহলী। মোট ৭০টি শতরান করেছেন তিনি। তাঁর আগে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর (১০০) এবং রিকি পন্টিং (৭১)।
সব থেকে কম বয়সে আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১২-য় তিনি এই পুরস্কার পান মাত্র ২৩ বছর বয়সে। এর পর ২০১৭-তেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
গত বছর আইসিসি দশকের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার চালু করেছে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেই পুরস্কার পান কোহলী। স্যর গারফিল্ড সোবার্স পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
দ্রুততম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক দিনের ক্রিকেটে ১০০০, ৪০০০, ৫০০০, ৬০০০, ৭০০০, ৮০০০, ৯০০০ এবং ১০০০০ রান রয়েছে তাঁর।
একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শতরান রয়েছে তাঁর। ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ইদানীং বল হাতে দেখা যায় না তাঁকে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে কোহলীর। আউট করেছিলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেনকে।
এক দিনের ক্রিকেটে কোনও দেশের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি শতরানের নজির রয়েছে তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তিনি ন’টি শতরান করেছেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি বার সিরিজের সেরা হয়েছেন তিনি। সাত বার এই নজির রয়েছে তাঁর। সব ফরম্যাট মিলিয়ে সিরিজের সেরা হয়েছেন ১৯ বার, রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি অর্ধশতরানের মালিক কোহলী। ৮৪টি ইনিংসে মোট ২৮টি অর্ধশতরান করেছেন। তবে এখনও এই ফরম্যাটে শতরান আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৪।