পাঁচ উইকেট নিয়ে জেমিসনই ভাঙলেন ভারতকে। ছবি: এএফপি।
ফের টস হেরে ব্যাটিং। এবং ফের ব্যাটসম্যানদের আত্মসমর্পণ। ওয়েলিংটন টেস্টেরই কার্যত পুনরাবৃত্তি হল ক্রাইস্টচার্চে। বেসিন রিজার্ভের মতোই হ্যাগলি ওভালেও ভেঙে পড়ল ভারতের ইনিংসে। তফাত হল, প্রথম টেস্টে কোনও ইনিংসেই দু’শোর গণ্ডি টপকাতে পারেনি ভারত। আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহালির দল শেষ হল ২৪২ রানে। ৬৩ ওভারের বেশি খেলতে পারলেন না ব্যাটসম্যানরা।
হনুমা বিহারী যখন ফিরেছিলেন তখন পাঁচ উইকেটে রান ছিল ১৯৪। হনুমা ফিরতেই চায়ের বিরতি হয়ে যায়। সেখান থেকে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৪২ রানে। মানে, শেষ ছয় উইকেট পড়ে মাত্র ৪৮ রানে। যার মধ্যে পাঁচটি পড়ে তৃতীয় সেশনে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চের সময় দুই উইকেটে ৮৫ ছিল স্কোর। ময়াঙ্ক আগরওয়াল (৭) দ্রুত ফিরলেও পৃথ্বী শ (৫৪) আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছিলেন। দুই ওপেনার ফিরে গেলেও ক্রিজে ছিলেন চেতেশ্বর পূজারা (১৫) ও বিরাট কোহালি (৩)। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন কোহালি (৩)। রিভিউ নিয়েও এলবিডব্লিউ হন তিনি। বেশি ক্ষণ থাকেননি অজিঙ্ক রাহানেও (৭)।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে ব্যর্থ, ডিআরএসেও ফ্লপ শো অব্যাহত বিরাটের
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নয়, এশিয়া কাপ হবে দুবাইয়ে
এর পর জুটি বাঁধেন পূজারা-হনুমা। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন দু’জনে। পূজারা সহজাত মেজাজে টানছিলেন দলকে। তাঁর পঞ্চাশ আসে ১১৭ বলে। তুলনায় আক্রমণাত্মক ছিলেন বিহারি। ৬৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছন তিনি। কিন্তু চায়ের ঠিক আগে পর পর তিন বলে মারতে গিয়ে অহেতুক উইকেট দিলেন বিহারি (৫৫)। তাঁর ৭০ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি বাউন্ডারি।
এর পরই নামে ধ্বস। দলীয় ১৯৭ রানে স্বভাববিরুদ্ধ শটে লোপ্পা ক্যাচ তুলে ফেলেন পূজারা। ১৪০ বলে তাঁর ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি। ঋষভ পন্থ (১২), উমেশ যাদব (০), রবীন্দ্র জাডেজা (৯) পর পর ফেরেন। ২১৬ রানে নয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে মহম্মদ শামি (১৬) ও জশপ্রীত বুমরা (অপরাজিত ১০) শেষ উইকেটে যোগ করেন ২৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার কাইল জেমিসন। তিনি ৪২ রানে নেন পাঁচ উইকেট। টিম সাউদি (২-৩৮), ট্রেন্ট বোল্ট (২-৮৯), নীল ওয়াগনাররা (১-২৯) নেন বাকি উইকেট।