সমালোচকদের সেই কথা কানে না তোলার কথাই বললেন বিরাট কোহলী। ছবি: বিসিসিআই
একজন ক্রিকেটার যখন ছন্দ হারায়, তাঁর ওপর বাড়তি চাপ হয়ে যায় সমালোচকদের কাটাছেঁড়া। সমালোচকদের সেই কথা কানে না তোলার কথাই বললেন বিরাট কোহলী। হিন্দি গানের পংক্তি ধার করে বললেন, “কুছ তো লগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা।” আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী রিভিউয়ের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া নিয়েও আপত্তি জানালেন ভারত অধিনায়ক।
মঙ্গলবার ভারত বনাম ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজ শুরু হবে। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারত অধিনায়ক। সেখানে বলেন, “একজন ক্রিকেটার যখন ছন্দ হারায়, সে ক্রিকেট খেলাটা ভুলে যায় না। মাথার মধ্যে স্থিরতার অভাব থাকে। তাই হয়তো সেই সময় ঠিক মতো খেলতে পারে না। ক্রিকেট খেলাটা খুব সহজ। বল দেখ, ব্যাট চালাও। এর মাঝে যদি ছন্দ নেই বলে সমালোচকরা তাঁর খেলা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে থাকে, সেটা পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। খেলতে হবে নিজেকেই। হিন্দিতে একটা গান আছে, ‘কুছ তো লগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহনা। ছোড়ো বেকার কী বাতো মে, কহী বীত না জায় র্যায়না।”
আইসিসি-র রিভিউয়ের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেওয়ারর নিয়ম নিয়েও কোহলী বিরক্ত। তিনি বলেন, “খেলাটা যাঁরা দেখছেন তাঁদের জন্যও সহজ রাখা উচিত। বল উইকেটে লাগছে অথচ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তর জন্য আউট দেওয়া হল না, এটা অদ্ভুত। রিভিউয়ের সময় যদি দেখা যায় বল উইকেটে লেগেছে তা হলে সব সময়ই তা আউট দেওয়া উচিত।” ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে আম্পায়ারের আপাত দৃষ্টিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ক্রিকেটের নিয়ম যারা তৈরি করে, সেই মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব পরামর্শ দিয়েছে ৩০ গজের মধ্যেই মাঠের আম্পায়ারের আপাত দৃষ্টিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রাহ্য করা যেতে পারে।
জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রয়েছেন কোহলীরা। এই সুরক্ষা বলয় থেকেই তাঁরা চলে যাবেন আইপিএল-এ নিজেদের দলের সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। ভারত অধিনায়ক বলেন, “সকলকে ধন্যবাদ এই জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সমস্ত চিকিৎসক এবং হোটেল কর্মীদের ধন্যবাদ। হোটেলের মধ্যে কখনোই আমরা সন্ত্রস্ত অনুভব করিনি। সুস্থ পরিস্থিতিতে খেলা হওয়ার জন্য তাঁদের কৃতিত্ব অগ্রাহ্য করা যাবে না।”