অস্ট্রেলীয়দের চক্রব্যুহেও মাথা ঠান্ডা অশ্বিনের। ছবি বিসিসিআই
খেলা শেষ | দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিল অজিঙ্ক রাহানের টিম ইন্ডিয়া। এক ওভার বাকি থাকতেই অধিনায়কদের সম্মতিতে খেলা শেষ করে দেওয়া হল। হাত মেলালেন ক্রিকেটাররা। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের সেরা ম্যাচ বাঁচানোর নিদর্শন হিসেবে থেকে গেল এই ম্যাচ। আগুনে অস্ট্রেলীয় পেসারদের সামলে ম্যাচ ড্র করল ভারত। হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন দেখিয়ে দিলেন কীভাবে চাপের মুখে উইকেট কামড়ে পড়ে থেকে ম্যাচ বাঁচাতে হয়। ভারতের স্কোর ৩৩৪/৫। বিহারী ১৬১ বলে অপরাজিত থাকলে ২৩ রানে। অশ্বিনের অবদান ১২৮ বলে ৩৯।
১২৭ ওভার | খেলা আর ৫ ওভার বাকি। ভারতের স্কোর ৩১৯/৫। লায়ন, মিচেল স্টার্ক, হ্যাজেলউড, মার্নাস লাবুশানে, কাউকে দিয়েই বল করাতে বাকি রাখেননি অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক টিম পেন। কিন্তু অশ্বিন, বিহারীকে কেউ সামান্য সমস্যাতেও ফেলতে পারছেন না। উইকেটে জমে গিয়েছেন এই দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।
১২০ ওভার | ভারতের স্কোর ৩১১/৫। আরও ১২ ওভার খেলা বাকি। কাঙ্ক্ষিত ৫টি উইকেট কিছুতেই পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। পাহাড়ের মতো উইকেটে সামনে পড়ে থেকে লড়ছেন অশ্বিন এবং বিহারী। ৭ রান করতে ১২৪ বল খেলেছেন বিহারী। অন্যদিকে অশ্বিন ৩৩ রান করতে নিয়েছেন ৯৮ বল।
১০৫ ওভার | ভারতের স্কোর ২৯০/৫। অদম্য মনোভাব নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন অশ্বিন (১৫) এবং বিহারী (৬)। অস্ট্রেলীয় পেসাররা যত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন তত ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা বাড়ছে। কামিন্সের বল অশ্বিনের বুকে লাগে। তাতেও ভয় পাননি। উইকেটকিপার টিম পেনের ক্রমাগত স্লেজিও তাঁদের মনঃসংযোগ টলাতে পারছে না।
৯৬ ওভার | চা-বিরতি। দলের তারকা ব্যাটসম্যানদের হারালেও লড়ে যাচ্ছে ভারত। তাদের স্কোর ২৮০/৫। জিততে গেলে এখনও দরকার ১২৭ রান। হাতে ৩৬ ওভার। তবে রান তাড়ার পাশাপাশি ভারতের লক্ষ্য় যে ম্যাচ বাঁচানোও, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ক্রিজে রয়েছেন বিহারী (৪) এবং অশ্বিন (৭)
৯০ ওভার | অবাক করা ব্যাপার। পুজারা ফিরলেও ব্যাট হাতে নামতে দেখা গেল না রবীন্দ্র জাডেজাকে। বদলে নামলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যদিও ড্রেসিংরুমে রয়েছেন জাডেজা।
৮৮ ওভার | ভারতের আশা ভরসা ছিল তাঁকে নিয়ে। কিন্তু পুজারাও টানতে পারলেন না। ফিরে গেলেন হ্যাজলউডের বলে। ৭৭ রান করেছেন পুজারা। খেলেছেন ২০৫ বল।
দ্বিতীয় ইনিংসে একসময় তিনি ব্যাট করতে পারবেন কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যাট করতে তো নামলেনই, উল্টে এমন ব্যাট করলেন যে অস্ট্রেলিয়ার রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন তিনি।
তিনি ঋষভ পন্থ। প্রথম ইনিংসে প্যাট কামিন্সের বল কব্জিতে লাগায় যন্ত্রণায় কাতর হয়ে বসে পড়েছিলেন। শুশ্রূষার পর সে ভাবে ব্যাটিং করতে পারেননি। ফিরে যান অল্প সময়েই। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটকিপিংও করতে পারেননি। সেই দায়িত্ব সামলাতে হয় ঋদ্ধিমান সাহাকে।
৪০৭ রান তাড়া করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চতুর্থ দিনেই দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিলকে হারিয়েছিল ভারত। রোহিত রীতিমতো নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। যাবতীয় দায়িত্ব গিয়ে পড়েছিল নেতা অজিঙ্ক রাহানে এবং চেতেশ্বর পুজারার উপর।
পঞ্চম দিনে দেখা গেল রাহানেও ব্যর্থ হলেন। দিনের চতুর্থ বলেই ফিরে যান তিনি। নেথান লায়নের বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডের হাতে। কিন্তু দমেননি পন্থ এবং পুজারা। দু’জনে মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভারতের ইনিংস।
পন্থ এর মধ্যে বেশি মারকুটে ছিলেন। কামিন্স, লায়ন, হ্যাজলউড কাউকেই ছাড়েননি তিনি। যখন মনে করা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাঠে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি আসতে চলেছে তাঁর, তখনই আসে বিপদ। ৮০তম ওভারের প্রথম বলেই লায়ন ফিরিয়ে দেন তাঁকে। মারমুখী পন্থ কভারের উপর দিয়ে ওড়াতে গিয়েছিলেন লায়নকে। কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি। বল গিয়ে সোজা জমা পড়ে গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা কামিন্সের হাতে।
আরও খবর: বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে উত্তাল ক্রিকেট