হতাশ শিয়নটেক। ছবি: টুইটার।
উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছেন মহিলাদের শীর্ষ বাছাই ইগা শিয়নটেক। অ্যালিজ করনেটের কাছে সরাসরি সেটে হেরে গিয়েছেন তিনি। থমকে গিয়েছে তাঁর জয় যাত্রা। অথচ আক্ষেপ নেই শিয়নটেকের।
শিয়নটেক পরাজয়ের পর মেনে নিয়েছেন, ভাল খেলতে না পেরেই হেরেছেন। হতাশ হলেও আক্ষেপ নেই তাঁর। পোল্যান্ডের খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘কী আর বলব? জানি একদমই ভাল খেলতে পারিনি। ঠিক কোন কৌশল কাজে আসবে, সেটাই ঠিক করতে পারিনি। করনেট খুবই ভাল খেলোয়াড়। আমার থেকে অনেক ভাল খেলেছে।’’
তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ নিয়ে শিয়নটেক আরও বলেছেন, ‘‘খেলা শুরুর সময় আমার একাধিক পরিকল্পনা ছিল। যেমন সব ম্যাচের আগেই থাকে। কখন কী পরিবর্তন করতে হয়, তাও জানা। কিন্তু এই ম্যাচে সেই পরিবর্তনগুলোই করতে পারিনি। বিভ্রান্ত লাগছিল।’’
টানা ৩৭ ম্যাচ জেতার পরেও কেন বিভ্রান্ত ছিলেন চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে? শিয়নটেক বলেছেন, !!এই মরসুমে সব খেলাই শুরু করেছি কিছুটা আগ্রাসী মেজাজে। প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে এই কৌশলটা কাজেও দিয়েছে। এই কৌশলে নিজেও বেশ স্বচ্ছন্দ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু করনেটের বিরুদ্ধে কিছুই ঠিকঠাক হল না। বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। খেলাটা একটু মন্থর করার চেষ্টা করলে হয়তো ভাল হত। তা না করে দ্বিতীয় সেটে খেলার গতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করি। সেটাই ভুল হয়েছে।’’
দু’বারের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন উইম্বলডনের আগে ঘাসের কোর্টে কোনও ম্যাচ খেলেননি। টানা জয়ের সুবাদে কি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন? সে জন্যই কি প্রস্তুতিতে এই খামতি? শিয়নটেক বলেছেন, ‘‘ঘাসের কোর্টে সব কিছুই একটু তাড়াতাড়ি ঘটে। এই কোর্টে মানিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক রকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারলাম না। আমার নিজের যুক্তই খাটেনি।’’
শিয়নটেক ভেঙেছেন ভিনাস এবং সেরিনা উইলিয়ামসের টানা জয়ের রেকর্ড। সেরিনা টানা ৩৪টি ম্যাচ জিতেছিলেন। ভিনাস জিতেছিলেন টানা ৩৫টি ম্যাচ। শিয়নটেককে থামতে হল টানা ৩৭টি ম্যাচ জিতে। সেই সংখ্যাটা আর ৩৮ করতে পারলেন না শিয়নটেক। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘টানা ম্যাচ জেতার সংখ্যায় আমি সন্তুষ্ট। পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি।’’