মহড়া: ডার্বির পরের দিন অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গলের কোলাদো ও বোরখা। (ডান দিকে) মোহনবাগানে সতীর্থদের সঙ্গে চামোরো। নিজস্ব চিত্র
ডুরান্ড কাপ সংগঠকদের অনুরোধে দুই প্রধানের ম্যাচ প্রায় এক সপ্তাহ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিল আইএফএ।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে অন্য ক্লাবগুলির সূচির ভারসাম্য রাখতে গিয়ে ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে সামগ্রিক পরিকল্পনা। কিবু ভিকুনার দলের কর্তাদের চাপে ৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ পিছোতে হয়েছে। নতুন সূচিতে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একই দিনে খেলবে মোহনবাগান। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল খেলবে ময়দানে সাদার্ন সমিতির সঙ্গে। জোসেবা বেইতিয়ারা খেলতে যাবেন কল্যাণীতে। প্রতিপক্ষ ভবানীপুর।
পিয়ারলেস, রেনবো, বিএসএস, এরিয়ানের মতো প্রিমিয়ার লিগের দলগুলির সূচি এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যাতে কোনও ভারসাম্য থাকছে না। রেনবো দ্বিতীয় ম্যাচের বাইশ দিন পরে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে। পিয়ারলেসের দু’টি ম্যাচের ব্যবধান আবার কখনও হয়েছে এগারো দিনের। কখনও বা দু’দিনের। বিএসএস আবার বারো দিনে পাঁচ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামছে আজ পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে।
এরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা লিগের সূচি নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র জট। পুজোর আগে লিগ শেষ করা নিয়ে সমস্যায় পড়ছে রাজ্য সংস্থা। এবং লিগ পুজোর পর গড়িয়ে গেলে তাঁরা তীব্র আর্থিক সঙ্কটে পড়বে আইএফএ-কে জানিয়ে দিয়েছে বেশিরভাগ ছোট ক্লাব। তারা জানিয়ে দিয়েছে, লিগের শেষে বিদেশি ফুটবলারও ছেড়ে দিতে হবে তাদের। কারণ আনসুমানা ক্রোমা, ইচেদের মতো ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লাবগুলির চুক্তি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই অবস্থায় ছোট ক্লাবগুলির চাপে সোমবার নতুন সূচি তৈরিই করতে পারল না আইএফএ। উল্টে সমস্যা সমাধানে ৪ সেপেন্টবর বুধবার প্রিমিয়ার লিগের বারোটি ক্লাবের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডাকলেন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলে দিলেন, ‘‘ছোট ক্লাবগুলি তাদের আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়েছে। তাদের অনেকেরই বাজেট কম। কিন্তু সূচির ভারসাম্য রাখতে গেলে লিগ শেষ করতে সমস্যা হবে। তাই নতুন সূচি তৈরি করব ওদের সঙ্গে সভার পরই।’’ পরিস্থিতি যা তাতে ১৪-১৫ সেপ্টেম্বরের আগে মোহনবাগান-মহমেডান ম্যাচ হবে না। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মহমেডানের খেলা কবে হবে কেউ জানে না। এ দিকে ডার্বির পর সোমবার অনুশীলন হল দুই প্রধানেই।