ঋদ্ধিমান সাহা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে থেকেও প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি ঋদ্ধিমান সাহার। তাঁর জায়গায় ঋষভ পন্থকে খেলিয়েছে টিম ম্যানেজেমন্ট।
হর্ষ ভোগলের মতো ধারাভাষ্যকার দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। প্রকাশ্যেই দল গঠনের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। ঋদ্ধি এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলার উইকেটকিপার বলেন, ‘‘আমি দলকে আগে রাখি। ব্যক্তিগত পছন্দ অনেক পরে। যদি দল মনে করে ঋষভকে খেলাবে, তা হলে সেই সিদ্ধান্তই শেষ কথা বলে আমি মনে করি। কারণ আমি চাই দল জিতুক।’’
ভারতীয় দলে ইদানীং বেশি পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এই ঘন ঘন পরিবর্তনে বিরক্ত। অনেকেই বলেছেন, এত পরিবর্তন করা হলে কোনও ক্রিকেটারই নিজের সেরাটা তুলে ধরতে পারবে না। কিউয়িদের বিরুদ্ধে সফরে ঋদ্ধিকে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে টেস্ট ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়নি। ঋদ্ধি বলছেন, ‘‘টিম ম্যানেজেমেন্টের সিদ্ধান্ত যা সেটাই মেনে নিতে হবে। তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হতেই পারে আমি সুযোগ পাব কারণ আগের সিরিজটাতেই আমি খেলেছি।’’
আরও পড়ুন: কাটছাঁট করে আইপিএলের বার্তা সৌরভের
রিচার্ড হ্যাডলির দেশে তিনি থাকলেও রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বাংলার উইকেটকিপার বলছেন, ‘‘নিউজিল্যান্ডে যখন টেস্ট ম্যাচ খেলিনি, তখন আমি লাল বলে প্র্যাকটিস করতাম। বাংলা যদি রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে পৌঁছয়, তার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলাম। বাকিরা ওয়ানডে-র জন্য সাদা বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’’
আরও পড়ুন: সব ঠিক হয়ে যাবে, আশাবাদী শাহরুখ
রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের পিচ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বাংলার কোচ অরুণ লাল প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছিলেন রাজকোটের পিচের। কোনও বল পড়ে লাফিয়েছে। আবার কোনও বল নেমে গিয়েছে। ঋদ্ধি বলছেন। ‘‘ফাইনালের উপযুক্ত পিচ এটা ছিল না। তবে অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন পারফর্ম করতে হবে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ টসটা হেরে যাই। আমরা সব কিছু থেকেই একটু পিছিয়ে ছিলাম। রান, পার্টনারশিপের ক্ষেত্রেও আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমাদের সামনে খাবার রাখাই ছিল। কিন্তু অন্য কেউ সেটা নিয়ে চলে গেল।’’