ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে হারার পরে সম্ভবত একটা পরিবর্তন হতে চলেছে ভারতীয় দলে। বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর পটেল সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তিনি খেলতে পারেন আর এক বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ় নাদিমের জায়গায়।
প্রথম টেস্টেই খেলার কথা ছিল অক্ষরের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চোট লাগায় তিনি ছিটকে যান। সুস্থ হওয়ার পরে বুধবার তিনি নেটে ব্যাটও করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘অক্ষরের হাঁটুতে সামান্য চোট ছিল। ও সুস্থ হয়ে গিয়েছে। নেটে ব্যাট করাও শুরু করেছে। দিন দুয়েকের মধ্যে বোলিংও শুরু করে দেবে।’’ সে ক্ষেত্রে শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে অক্ষরকে নিয়ে। শনিবার থেকে চেন্নাইয়েই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট।
বোর্ড আধিকারিক আরও বলেছেন, ‘‘অক্ষরের প্রথম টেস্ট খেলার কথা ছিল। চোটের জন্য হয়নি। তাই দ্বিতীয় টেস্টে ওর খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে অধিনায়ক বিরাট কোহালি, হেড কোচ রবি শাস্ত্রী এবং বোলিং কোচ বি অরুণের উপরে।’’ কেউ কেউ মনে করেন, অক্ষর খেললে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের গভীরতা আরও বাড়বে। তবে চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবকে খেলানোর কথাও বলেছেন বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ক্রিকেটার। যেমন সুনীল গাওস্কর। তিনি মনে করেন, বেশি পরিবর্তন দরকার নেই দলে। নাদিমের পরিবর্তে কুলদীপকে খেলানোটাই যথেষ্ট।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রীতিমতো হতাশ করেছেন নাদিম। ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারেননি, তার উপরে ন’টি নো বল করেছেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, এক জন স্পিনারের কাছে যা প্রায় অপরাধের মতো। সাধারণত, ছন্দে না থাকলে নো বল বেশি হয়। দু’ইনিংস মিলিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। ৫৯ ওভারে নাদিম দেন ২৩৩ রান। ভারতের পক্ষে ভাল খবর, আর অশ্বিন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে জফ্রা আর্চারের বলে হাতে এবং মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন অশ্বিন। সেই অবস্থায় তিনি ব্যাট করে যান। তবে এই অফস্পিনারের স্ক্যান করার কোনও প্রয়োজন হয়নি। যা স্বস্তি দেবে ভারতীয় শিবিরকে। প্রথম টেস্টে টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্টে যে পিচে খেলা হওয়ার কথা, সেখানে এখনও ঘাস আছে। তবে সেই ঘাস পরে না থাকারই কথা। দ্বিতীয় টেস্টের পিচে আরও বেশি বল ঘুরতে পারে। এমনকি প্রথম দিন থেকেই। সব কিছুই অবশ্য নির্ভর করবে, পিচ প্রস্তুতকারকরা আগামী দু’দিন পিচে কতটা জল দেন, তার উপরে। জল কম দেওয়া হলে পিচ তাড়াতাড়ি ভেঙে যাওয়ার কথা।