ধোনির পাশে ছেলেবেলার দুই কোচ। ছবি: এপি।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ৫২ বলে ২৮ রানের ইনিংস নিয়ে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়ককে শুনতে হয় প্রবল কটাক্ষ। সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি ধোনির মন্থর ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেছেন।
মাহির ছোটবেলার দুই কোচ —কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় ও চঞ্চল ভট্টাচার্য কিন্তু ছাত্রকে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় রাঁচী থেকে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘ধোনি সেদিন মন্থর ব্যাটিং করেছে ঠিকই। তার পিছনে একাধিক কারণ হয়তো রয়েছে। তাই বলে ওকে টার্গেট করা উচিত নয়। সব দিন তো আর সমান হয় না। একদিন খারাপ খেলতেই পারে। খেলাটার নাম যে ক্রিকেট!’’
উইকেট কিপার ধোনিকে নিয়ে সমালোচনা নেই। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে কোহালিকে পরামর্শ দেওয়া নিয়েও কারোর কোনও সমস্যা নেই। ব্যাটসম্যান ধোনিকে নিয়েই যত সমালোচনা। ইনিংসের শুরুতে ধোনি সাধারণত স্ট্রাইক রোটেট করেন। পরের দিকে তিনি বড় শট খেলেন। রশিদ খানদের বিরুদ্ধে অন্য ছবি দেখা যায়। স্ট্রাইক রোটেট ঠিকমতো করতে পারেননি ধোনি। বড় শটও আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। বাড়তে থাকা চাপ প্রশমিত করার জন্য ক্রিজ ছেডে় বেরিয়ে ছক্কা হাঁকাতে যান ধোনি। ব্যাট বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ধোনি স্টাম্পড হন। কেশববাবু বলছিলেন, ‘‘পিচটা ঠিকমতো রিড করতে পারেনি সেদিন। তবে শুধু ধোনি কেন, অন্যরাও তো রানের গতি বাড়াতে পারেনি। সবাইকে ছেড়ে তাহলে ধোনিকে ধরা হচ্ছে কেন?’’
আরও পড়ুন: বল কি মাটিতে! লিটনের আউট নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচে গ্যালারিতে বিয়ের প্রস্তাব, ভাইরাল ভারতীয় ফ্যান ও তাঁর গালফ্রেন্ডের ভিডিয়ো
আফগানদের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতার পরে সচিন তেন্ডুলকর বলেছেন, ‘‘ধোনিকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে।’’ কেশববাবু বলছেন, ‘‘ধোনি জানে ওকে কী করতে হবে। ওর ফিটনেস নিয়ে কি কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে? ওর উইকেট কিপিং নিয়ে কি কারোর কিছু বলার আছে? সেদিন আফগান বোলাররাও ভাল জায়গায় বল ফেলেছে। যে কারণে রান তোলা সম্ভব হয়নি। এটাও মানতে হবে।’’ ছাত্রর ক্রিকেটীয় দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই কোচের।
বিজয় শঙ্কর, ধোনি এবং কেদার যাদবকে নিয়ে ভারতের মিডল অর্ডার। আফগানদের বিরুদ্ধে কেদার যাদব ছাড়া বাকি দু’ জনই বড় রান করতে পারেননি। ধোনির আর এক কোচ চঞ্চল ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘সব দিন তো আর রবিবার হয় না। সে দিন তো গোটা টিমটাই ধীর লয়ে ব্যাটিং করেছিল।’’
তাঁর ব্যাটিং নিয়ে যে প্রবল সমালোচনা হয়েছে, তা নিশ্চয় জানেন ধোনি। পরের ম্যাচে কি তিনি বদনাম ঘোঁচাতে পারবেন? দুই কোচই নিশ্চিত বিশ্বকাপের পরের ম্যাচগুলোয় ঘুরে দাঁড়াবেন তাঁদের প্রিয় ছাত্র।