সহবাগ ও শোয়েব একসাথে, ছবি সৌজন্যে:টুইটার
ম্যাঞ্চেস্টারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে থেকেই বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট করে সরফরাজ আহমেদদের জানিয়েছিলেন, ‘‘টস জিতলে আগে ব্যাটিং নেবে।’’
ম্যাচের দিন টস জিতেও ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান সরফরাজ। তার পরের ঘটনা ইতিহাস। শোয়েব আখতার তীব্র সমালোচনা করেন সরফরাজের। পাক অধিনায়ক একেবারেই মাথা খাটান না— এভাবেই সরফরাজকে আক্রমণ করেছিলেন শোয়েব। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-এর সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন না ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ। পাক-অধিনায়কের পাশে দাঁড়ান ‘নজফগড়ের নবাব’।
আরও পড়ুন: বিদায় শিখরের, সব নজর এখন ঋষভে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে সরফরাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করছেন শোয়েব ও সহবাগ। বীরু বলেন, ‘‘সৌরভ, গাওস্কর, ক্লার্ক-সহ সমস্ত অধিনায়কই টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন।’’ সহবাগ বলেন, ‘‘কেবল সচিন তেন্ডুলকর টস জিতলে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতেন।’’ কারণ হিসাবে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলেন, ‘‘সচিন মনে করতেন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পিচ বা আবহাওয়ার বড় ভূমিকা নেয় না। নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভাল ভাবে চাপ সামলাতে পারবে, সেই দলই জিতবে। এই ধরনের ম্যাচে চাপ সামলানোটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
সেই কারণেই সচিন মনে করতেন, টস জিতলে ব্যাটিং করাই উচিত। ভারত-পাক ম্যাচে রান তাড়া করা কঠিন। যে দল পরে ব্যাট করতে নামবে, সেই দলই চাপে থাকবে। শোয়েব তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আগে বলেছিলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে শিক্ষা নিতে পারত সরফরাজ।’’ দু’ বছর আগের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান টস জিতে ব্যাটিং করে এবং পরে ব্যাট করতে নেমে ভারত ব্যর্থ হয়।
শোয়েব আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে বড় ম্যাচে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার ঘটনা বিরল। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ইনজামাম উল হক, সইদ আনোয়ার, ইজাজ আহমেদ-সহ নামী ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ব্যর্থ হই। সরফারাজের উচিত ছিল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া।’’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার, ভারত কত নম্বরে জানেন?