বিতর্ক: বল লেগেও বেল পড়ল না। বিস্মিত ধোনি। ফাইল চিত্র
চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চম বার উইকেটে বল লাগা সত্ত্বেও বেল পড়ল না! ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে যশুপ্রীত বুমরার বল স্টাম্পে লাগা সত্ত্বেও বেঁচে যান ডেভিড ওয়ার্নার। ভারতের দ্রুততম পেসারের বলেও যখন বেল পড়ছে না, তখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তো তৈরি হবেই।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাঠের বেল ব্যবহারের প্রথা প্রায় উঠেই গিয়েছে। আইপিএলেই দেখা গিয়েছে, এলইডি বেলের ব্যবহার। এ বার বিশ্বকাপেও সেই এলইডি বেল ব্যবহার করা হচ্ছে। সামান্য নড়াচড়া হলে অথবা বল লাগলে আলো জ্বলে ওঠে নতুন প্রযুক্তির এই বেলে।
কিন্তু নতুন প্রযুক্তির এই বেল সাধারণ কাঠের বেলের চেয়ে কিছুটা ভারী। আলো জ্বালানোর জন্য যে ধরনের ইলেকট্রনিক তার ব্যবহার করা হয়, তার জন্য বেল ভারী হয়ে গিয়েছে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি বলেছেন, ‘‘বেলের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু স্টাম্প থেকে বেল সরাতে হলে একজন বোলারকে অনেক বেশি কসরত করতে হচ্ছে। জোরে বল না লাগলে বেল সরছে না।’’
কোহালি অবাক হয়েছেন যে, বুমরার মতো একজন পেসারের বল লেগেও বেল পড়ল না। ‘‘বুমরা তো মিডিয়াম পেসার নয়। যথেষ্ট জোরে বল করে। ওর বল লেগেও বেল পড়ল না দেখে সত্যি অবাক হয়েছি।’’
অস্ট্রেলীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই এই ঘটনা ঘটার পরে স্টাম্প পরীক্ষা করে দেখেন বিরাট ও এম এস ধোনি। অধিনায়ক বলেন, ‘‘ধোনি ভাই আর আমি তখনই স্টাম্প পরীক্ষা করে দেখি। কিন্তু বেশি শক্ত করে স্টাম্পও লাগানো ছিল না যে, বল লাগলেও নড়বে না। বিষয়টি অদ্ভুত লেগেছে।’’
কোহালি জানিয়েছেন, সব চেয়ে বেশি এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ বোলারেরা। তিনি বলেছেন, ‘‘একজন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার জন্য সেরা বলটি করতে হয়। তার পরেও যদিও বেল না পড়ে তা হলে কোনও বোলারই মেজাজ ধরে রাখতে পারে না।’’
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেছেন, ‘‘ওয়ার্নার ব্যাট করার সময় অনেক জোরে স্টাম্পে বল লেগেছিল। কিন্তু বেল না পড়ায় আমিও কিছুটা অবাক হয়েছি। একজন বোলারের মানসিকতা দিয়ে ভাবলে এই ঘটনায় রাগ হবেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। ভাবুন তো বিশ্বকাপ ফাইনাল অথবা সেমিফাইনালে এ ধরনের কোনও একটি ঘটনা ঘটল! সে ক্ষেত্রে আয়োজকদের কী ভাবে ক্ষমা করবেন?’’