এ যেন একেবারে ১৯৯২-এর ফোটোকপি। সে বারও খুব খারাপ ভাবে শুরু করা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে। এ বারেও শুরু থেকে তেমন ভাল খেলতে না পারা পাকিস্তান যেন জেগে উঠল কিউয়িদের বিরুদ্ধে। দু’বারের মধ্যে রয়েছে একাধিক মিল। কেমন সে সব মিল? দেখে নেওয়া যাক।
পাকিস্তান সেই বারও তাঁদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হারের মধ্যে দিয়ে। এ বারও তাঁরা প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে হেরে অভিযান শুরু করে।
সেই বার বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল তাঁদের তৃতীয় ম্যাচ। এ বারও পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার ম্যাচ বরুণদেবের কল্যাণে বাতিল হয়ে যায়। যদিও সে বার পাকিস্তান ব্যাট করেছিল। এ বার একটি বলও গড়াইনি ব্রিস্টলের ২২ গজে।
চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ দু’টি পাকিস্তান হারে। অদ্ভুত ভাবে এই ঘটনাটিও মিলে গিয়েছে এই বারের সঙ্গে। চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হারে পাকিস্তান।
সেই বারও ভারত পাকিস্তান ম্যাচ বৃষ্টি বিঘ্নিত ছিল। এইবারেও বৃষ্টির প্রভাব পড়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচে। সে বারের মত এ বারেও শেষ হাসি হাসে ভারতীয় দল।
দুরন্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৯৯২ বিশকাপে ষষ্ঠ ও সপ্তম ম্যাচ জেতে পাকিস্তান দল। এইবারেও সেই চিত্র দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর জিতেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার আগে কিউয়িরাও অপরাজিত ছিল। এ বারেও বাবর আজমদের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রথম ছয় ম্যাচ অপরাজিত ছিলেন কেন উইলিয়ামসনররা।
সে বারেও পাকিস্তানের জয়ের কাণ্ডারি ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিডস্টার ওয়াসিম আক্রম। এ বারেও পাকিস্তান জয়ের স্বপ্ন দেখছে আরেক বাঁ-হাতি পেসার মহম্মদ আমিরের কাঁধে ভর করেই। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে উইকেট তালিকায় তিন নম্বরে আছেন দুরন্ত ছন্দে থাকা আমির।
’৯২-এর বিশ্বকাপ সাক্ষী ছিল তরুণ প্রতিভা ইনজামাম-উল-হকের উত্থানের। এই বার সেই পরিবারের আরেক তরুণ প্রতিভা খেলছেন পাকিস্তান দলে। ইনজামামের ভাইপো ইমাম-উল-হক পাকিস্তানের হয়ে এই বিশ্বকাপে ব্যাটিং ওপেন করতে নামছেন।
১৯৯২ বিশ্বকাপের আগের দু’টি বিশ্বকাপ জেতে কপিল দেবের ভারত ও অ্যালান বর্ডারের অস্ট্রেলিয়া। এই বিশ্বকাপের আগে ২০১১ ও ২০১৫ এর বিশ্বকাপ ওঠে যথাক্রমে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার হাতে।