সেমিফাইনালে পৌঁছনোর সামান্য আশা ধরে রাখতে হলে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে ফ্যাফ ডুপ্লেসিদের।—ছবি এএফপি।
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তান। শনিবার তাই কার্ডিফে মুখোমুখি লড়াইয়ে দুটি দলই জিততে মরিয়া। বিশ্বকাপের আগে অনেকেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখেনি। তাঁদের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপের জন্য। তবে চারটি ম্যাচ হয়ে গেলেও তাঁরা যে জয়হীন থেকে যাবে, এটাও কেউ আশা করেনি। ২০১৫ সালের সেমিফাইনালিস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরুদ্ধে হেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। এই অবস্থায় সেমিফাইনালে পৌঁছনোর সামান্য আশা ধরে রাখতে হলে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে ফ্যাফ ডুপ্লেসিদের।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে হলে দলের ব্যাটসম্যানদের জ্বলে উঠতে হবে। এখনও পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের প্রায় প্রতিটা ম্যাচে তাদের ভুগিয়েছে ব্যাটিং। এমনকী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও ২৯ রানে তাদের দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এর পরেই ম্যাচ বাতিল হয়ে যায় বৃষ্টিতে। হাসিম আমলাও ফর্মে নেই। শেল্ডন কটরেলের শর্ট বলে মাত্র ছয় রান করেই ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। ফর্মে নেই ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং কুইন্টন ডি’ককও। আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। তাই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দলের ব্যাটিংয়ের হাল তাঁকেই ধরতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডুপ্লেসি শুক্রবার বলেছেন, গত ম্যাচগুলিতে হারের কথা ভুলে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে চান তাঁরা। ‘‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে আমাদের। আগে কী হয়েছে সেটা মাথায় রাখতে চাই না। আগামী পাঁচটা ম্যাচে আমরা একটা লক্ষ্য নিয়ে নামছি। হয়তো এ বার যে ভাবে খেলতে চাই সেটা পারব। আমরা নিজেদের শক্তি অনুযায়ী এখনও খেলতে পারিনি। এখন কোনও দলকেই দুর্বল বলা যায় না। এমন ক্রিকেটারেরা থাকে যারা ম্যাচের রঙ পাল্টে দিতে পারে,’’ বলেন ডু’প্লেসি।
টানা তিনটি হারের পরে আফগানিস্তান পয়েন্ট টেবলে এখন লাস্টবয়। এর মধ্যে আবার বিস্ফোরক ওপেনার মহম্মদ শেহজাদ চোটের জন্য দেশে ফিরে গিয়েছেন। তাই আফগানিস্তানের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে কাগিসো রাবাডা এবং ইমরান তাহিরকে নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ সামলানো।
শনিবার বিশ্বকাপে: দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান, সন্ধে ৬টা, সরাসরি সম্প্রচার স্টার স্পোর্টস থ্রি চ্যানেলে।