লজ্জার হারের পর রোষের মুখে সরফরাজরা। ছবি: এপি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে লজ্জাজনক হারের পর পাক-অধিনায়ক সরফরাজ খান-কে এক হাত নিলেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ শোয়েব আখতার।
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাক ব্যাটিং লাইন-আপ। রান তাড়া করতে নেমে ক্রিস গেলের বিধ্বংসী হাফ সেঞ্চুরির দাপটে মাত্র ১৩.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপে এটাই পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৪ রানই এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বনিম্ন রান। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দেশের এমন ভরাডুবি দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি শোয়েব। পাকিস্তানের বর্ষীয়ান সাংবাদিক সাজ সিদ্দিকি জানান, শোয়েবের নিশানায় পাক অধিনায়ক সরফরাজ খান। পাক অধিনায়ক সম্পর্কে শোয়েব বলেন, “ টসের সময় যখন মাঠে এল সরফরাজ, তখন ওর বিশাল ভুঁড়ি আর চর্বিবহুল মুখেই ফুটে উঠছিল পুরোদস্তুর ফিট ও নয়। সরফরাজ আমার চোখে দেখা সব থেকে আনফিট পাক অধিনায়ক। ওই ভারী শরীর নিয়ে ক্রিজের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তেও ছুটতে পারছিল না, এমনকি উইকেট কিপিং করতেও সমস্যায় পড়ছিল।’’
ক্যারিবিয়ানদের আগ্রাসী বোলিংয়ের সামনে অসহায় দেখায় পাকিস্তানিদের। শোয়েব টুইট করেন, ‘‘স্পিচলেস।’’ অর্থাৎ পাকিস্তানিদের ‘অয়ারাম গয়ারাম’ ব্যাটিং দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন শোয়েব। ম্যাচের শেষে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে শোয়েব টুইট করেন, ‘‘ম্যাচ শেষ। আমি আমার ভাবনা আর আবেগকে সংযত করেছি। এই টিমটা আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ওদের পাশে থাকা উচিত।’’
প্রথম ম্যাচে হারটা শোয়েবকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়েছে। তাই সর্ব শেষ টুইটে তিনি লেখেন “পাকিস্তান দলের এই বিশ্রী পারফরম্যান্স লজ্জাজনক হলেও, দলের প্রতি আমাদের আস্থা রাখা উচিত, যাতে ওরা মনোবল ফিরে পায়।”
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েও শেষ হাসি হেসেছিল ইমরান খানের দেশ। দু’ বছর আগের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের কাছে ১২৪ রানে হারের পরে ফাইনালে সেই ভারতকে মাটি ধরিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এ বারও কি সে রকমই কিছু চিত্রনাট্য লেখা রয়েছে সরফরাজদের জন্য?