ব্যাটে-বলে ঝড় তুলে বাংলাদেশকে জেতালেন শাকিব

বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার তালিকায় ঢুকে পড়লেন। এর আগে যুবরাজ সিংহের এই রেকর্ড ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০৩:১২
Share:

হাফসেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক হলেন শাকিব আল হাসান।—ছবি এএফপি।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সাউদাম্পটনে একাধিক রেকর্ডের মালিক হলেন শাকিব আল হাসান। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একটি বিশ্বকাপে ৪০০-র উপর রান ও ১০টি উইকেট নেওয়ার কীর্তি আরও কারও নেই। চলতি বিশ্বকাপে শাকিবের মোট রান ৪৭৬। উইকেটসংখ্যা ১০।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার তালিকায় ঢুকে পড়লেন। এর আগে যুবরাজ সিংহের এই রেকর্ড ছিল। পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন তিনি। এ ছাড়াও একই বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পাওয়ার তালিকাতেও জায়গা করে নিলেন কপিল দেব ও যুবরাজের সঙ্গে। প্রথম বাংলাদেশ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে ১০০০ রানের গণ্ডিও পার করে দিলেন এ দিনই।

একাধিক রেকর্ড করার দিনে ম্যাচের নায়ক তাঁকেই বাছা হয়। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘‘সত্যি বিশ্বকাপ খুব ভাল যাচ্ছে। ভাল প্রস্তুতি নেওয়ার ফল পাচ্ছি। পাঁচ উইকেট পেয়ে সেঞ্চুরির মতোই অনুভূতি হচ্ছে।’’

Advertisement

এ দিন সাউদাম্পটনে ৫১ রান করার পাশাপাশি ২৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন শাকিব। প্রত্যাশা অনুযায়ী বিপক্ষকে বড় লক্ষ্য দিতে না পারলেও অনায়াসে জেতে বাংলাদেশ। শাকিব, মোসাদ্দেক হোসেনদের প্রয়াসে। বাংলাদেশ জেতে ৬২ রানে। ২০০ রানে শেষ হয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।

ভারতের বিরুদ্ধে সাউদাম্পটনের উইকেটের যে রকম চরিত্র দেখা গিয়েছিল, এ দিনও তার ব্যতিক্রম দেখা গেল না। মন্থর ও শুষ্ক উইকেট। যেখানে প্রথম বল থেকে সুবিধা পাচ্ছেন স্পিনারেরা। যেমন পেয়ে গেলেন মুজিব উর রহমান ও শাকিব। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন আফগান স্পিনার। দুই উইকেট গুলবাদিন নইবের।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই সোমবার ভাল শুরু করেছেন। কিন্তু বড় ইনিংসে পরিণত করতে ব্যর্থ। ওপেনার লিটন দাস আউট হন ১৬ রানে। ৩৬ রান করে ফিরে যান তামিম ইকবাল। ৬৯ বলে ৫১ রান করেন শাকিব। ৮৭ বলে সর্বোচ্চ ৮৩ রান মুশফিকুর রহিমের। শাকিব বলছিলেন, ‘‘মুশফিক যদি এই ইনিংস না খেলত, আমরা সমস্যায় পড়তাম। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে ফিরিয়ে এনেছে। এটা ও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করে থাকে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘পরের দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। দু’টোই বড় ম্যাচ। চেষ্টা করব এই ছন্দ বজায় রাখার।’’ আফগান স্পিনার মুজিবের বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানেরা। ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপের কাছেও কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই মুজিব।

স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ ২৬২-৭ (৫০)
আফগানিস্তান ২০০ (৪৭)

বাংলাদেশ
লিটন ক শাহিদি বো মুজিব ১৬•১৭
তামিম বো নবি ৩৬•৫৩
শাকিব এলবিডব্লিউ বো মুজিব ৫১•৬৯
মুশফিকুর ক নবি বো দওলত ৮৩•৮৭
সৌম্য এলবিডব্লিউ বো মুজিব ৩•১০
মাহমুদুল্লা ক নবি বো নইব ২৭•৩৮
মোসাদ্দেক বো নইব ৩৫•২৪
সইফুদ্দিন ন. আ. ২•২
অতিরিক্ত ৯
মোট ২৬২-৭ (৫০)
পতন: ১-২৩ (লিটন, ৪.২), ২-৮২ (তামিম, ১৬.৬), ৩-১৪৩ (শাকিব, ২৯.২), ৪-১৫১ (সৌম্য, ৩১.৬), ৫-২০৭ (মাহমুদুল্লা, ৪২.৬), ৬-২৫১ (মুশফিকুর, ৪৮.৩), ৭-২৬২ (মোসাদ্দেক, ৪৯.৬)।
বোলিং: মুজিব উর রহমান ১০-০-৩৯-৩, দওলত জ়াদরান ৯-০-৬৪-১, মহম্মদ নবি ১০-০-৪৪-১, গুলবাদিন নইব ১০-১-৫৬-২, রশিদ খান ১০-০-৫২-০, রহমত শাহ ১-০-৭-০।

আফগানিস্তান
নইব ক লিটন বো শাকিব ৪৭•৭৫
রহমত ক তামিম বো শাকিব ২৪•৩৫
শাহিদি স্টাঃ মুশফিকুর বো মোসাদ্দেক ১১•৩১
অসগর ক পরিবর্ত (সাব্বির) বো শাকিব ২০•৩৮
নবি বো শাকিব ০•২
সামিউল্লা ন. আ. ৪৯•৫১
ইক্রম রান আউট ১১•১২
নাজিবুল্লা স্টাঃ মুশফিকুর বো শাকিব ২৩•২৩
রশিদ ক মর্তুজা বো মুস্তাফিজ়ুর ২•৩
দওলত ক মুশফিকুর বো মুস্তাফিজ়ুর ০•০
মুজিব বো সইফুদ্দিন ০•৪
অতিরিক্ত ১৩ মোট ২০০ (৪৭)
পতন: ১-৪৯ (রহমত, ১০.৫), ২-৭৯ (শাহিদি, ২০.৫), ৩-১০৪ (নইব, ২৮.১), ৪-১০৪ (নবি, ২৮.৩), ৫-১১৭ (অসগর, ৩২.২), ৬-১৩২ (ইক্রম, ৩৫.১), ৭-১৮৮ (নাজিবুল্লা, ৪২.৪), ৮-১৯১ (রশিদ, ৪৩.৩), ৯-১৯৫ (দওলত, ৪৫.৪), ১০-২০০ (মুজিব, ৪৬.৬)।
বোলিং: মাশরাফি মর্তুজা ৭-০-৩৭-০, মুস্তাফিজ়ুর রহমান ৮-১-৩২-২, মহম্মদ সইফুদ্দিন ৮-০-৩৩-১, শাকিব আল হাসান ১০-১-২৯-৫, মেহেদি হাসান মিরাজ় ৮-০-৩৭-০, মোসাদ্দেক হোসেন ৬-০-২৫-১।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement