আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ এর সেরা একদশ বেছে নেওয়ার পর এবার নিজের সেরা বিশ্বকাপ একদশ বেচে নিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর। অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলেন কেন উইলিয়ামসনকে। কিন্তু দেখা গেল না ধোনির নাম। দেখে নেওয়া যাক সচিন তেন্ডুলকরের বাছাইয়ে বিশ্বকাপের সেরা একদশে কারা কারা রয়েছেন।
রোহিত শর্মা- আইসিসির পাশাপাশি সচিনের বিশ্বকাপ একাদশেও রয়েছেন রোহিত। এই বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান করেছেন এবং পাঁচটি শতরান করে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে দল সজাননি তেন্ডুলকরও।
জনি বেয়ারস্টো- দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে সচিনের পছন্দ ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টোকে। নেই আইসিসির বিশ্বকাপ একাদশে থাকা জেসন রয়। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে বেয়ারস্টোর ভূমিকা সত্যি অনস্বীকার্য।
কেন উইলিয়ামসন- আইসিসির মত সচিনের বিশ্বকাপ একাদশেও অধিনায়ক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। শান্ত স্বভাবের হলেও সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই মুহূর্তে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
বিরাট কোহালি- অধিনায়ক হিসেবে না হলেও সচিনের বিশ্বকাপ একাদশে স্থান পেয়েছেন বিরাট কোহালি। যদিও আইসিসির বিশ্বকাপ একাদশ থেকে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন তিনি।
শাকিব অল হাসান- বিশ্বকাপ ২০১৯ এ স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন শাকিব অল হাসান। পুরো টুর্নামেন্টে মোট ৬০৬ রান করার পাশাপাশি দলের হয়ে জরুরি সময়ে বল হাতে উইকেটও নিয়েছেন। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে ক্রিকেট ঈশ্বরও তাঁর বিশ্বকাপ একাদশ সাজাতে পারলেন না।
বেন স্টোকস- বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন বেন স্টোকস। ফাইনালে ইংল্যান্ডের জয়ের কাণ্ডারি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তাই আইসিসি ও সচিন উভয় একাদশেই জায়গা করে নিয়েছেন বেন স্টোকস।
হার্দিক পাণ্ড্য- আইসিসির বিশ্বকাপ একাদশে না থাকলেও সচিনের বিশ্বকাপ একাদশে স্থান করে নিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। তাঁর হার্ড হিটিং শক্তির জন্য প্রতিপক্ষকে একাধিকবার বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা দিতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তেমনই বল হাতেও প্রতিপক্ষের রানের গতি স্লথ করায় অন্যতম ভুমিকাও পালন করেছিলেন।
রবীন্দ্র জাডেজা- হার্দিকের মত জাডেজাও আইসিসির বিশ্বকাপ একাদশে স্থান না পেলেও জায়গা করে নিয়েছেন সচিনের বিশ্বকাপ একাদশে। সেমিফাইনালে সুযোগ পেয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করে যেভাবে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তা সত্যি কুর্নিশ যোগ্য।
মিচেল স্টার্ক- বিশ্বকাপ ২০১৯ এ সর্বাধিক উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ একাদশ সাজান এক প্রকার অসম্ভব।
যশপ্রীত বুমরা- ৯ ম্যাচে ১৮টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র ৪.৪১ হারে রান দিয়েছেন। এখানে এটাও মনে রাখা জরুরি যে বুমরা একজন ডেথ বোলার। তাঁর পক্ষে এই ইকনমি হারে বল করা সত্যি প্রশংসাযোগ্য। তাই উভয় বিশ্বকাপ একাদশেই তিনি বিরাজ করছেন।
জোফ্রা আরচার- ইংল্যান্ডের একজন সফল সিমার জোফ্রা আরচার। নিয়েছেন ১১ ম্যাচে ২০টি উইকেট। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট হওয়ায় ফাইনালে সুপার ওভারে তাঁর উপরই আস্থা রেখেছিলেন অধিনায়ক মর্গান। আর তিনি নিরাশ করেননি। যার ফলেই ফাইনালে ইংল্যান্ডে জয়ী হয়েছেন।