রস টেলর। ছবি এপি।
জানেন ম্যাঞ্চেস্টারে মঙ্গলবারের সেমিফাইনালে গ্যালারির অধিকাংশ সমর্থনই থাকবে বিরাট কোহালির ভারতের দিকে। তার মধ্যে তাঁর দেশের সমর্থনে কয়েকটা পতাকা দেখতে চান নিউজ়িল্যান্ড তারকা রস টেলর। এ দিন অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের জন্য ম্যাঞ্চেস্টার দারুণ জায়গা। এখানে মাঠে নামলে মনে হবে এশিয়া বা ভারতে হয়তো খেলছি। তবে, এ রকম পরিবেশে আমাদের খেলার অভ্যাস রয়েছে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের গ্যালারি বেশ বড়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমরা এখানে খেলেছি। ভারতের বিরুদ্ধেও আলাদা কিছু হবে না। সমর্থকদের হইচই থাকবে। আশা করছি ভারতীয় সমর্থকদের নীল সমুদ্রে আমাদেরও কয়েকটা পতাকা দেখা যাবে।’’
লড়াইয়ে নামার আগে বিপক্ষকেও সমীহ দেখালেন টেলর। বিশেষ করে ভারতের পেস বোলার যশপ্রীত বুমরাকে। ‘‘বুমরা বিপজ্জনক বোলার। ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমণও অন্যতম সেরা। এগুলো মাথায় রেখেই আমাদের নামতে হবে। রবীন্দ্র জাডেজাও শেষ ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করেছে। ভারতীয় দলে অনেক বিশ্বমানের ক্রিকেটার রয়েছে। আমরা ওদের যথেষ্ট সমীহ করছি।’’
নিউজ়িল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড আবার ভারতের বিরুদ্ধে বিশেষ অস্ত্র তৈরি রাখছেন— লকি ফার্গুসন। তিনি মনে করেন, লকিই ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তফাত গড়ে দিতে পারেন। কেন উইলিয়ামসনের দলের কোচ বলছেন, ‘‘লকি আমাদের দলের সম্পদ। দুর্দান্ত খেলছে ও। এটা ওর প্রথম বিশ্বকাপ হলে কী হবে, যখনই বল করতে এসেছে, মনে হয়েছে উইকেট তুলে নেবে।’’
নিউজ়িল্যান্ডের এই বোলিং আক্রমণে ট্রেন্ট বোল্ট সব চেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র হলে কী হবে, গতি আর সুইংয়ে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখছেন লকি। এই পেসারকে নিয়ে স্টিড বলেছেন, ‘‘লকি হয় ওর গতিতে ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করে উইকেট তুলে নিচ্ছে। না হলে এমন চাপ তৈরি করছে যে উল্টো দিকের বোলারকে আক্রমণ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে যাচ্ছে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। আশা করব, সেমিফাইনালেও ভারতের বিরুদ্ধে এই বিধ্বংসী লকিকে পাব আমরা।’’
নিউজ়িল্যান্ডের দুই পেসার ফর্মে থাকলে কী হবে, উইলিয়ামসনদের সমস্যার জায়গা হচ্ছে ওপেনিং। মার্টিন গাপ্টিল ছন্দে নেই। তাঁর যে দুই সঙ্গীকে এ বারের বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে, সেই কলিন মুনরো এবং হেনরি নিকোলস, কেউই ফর্মে নেই। গাপ্টিলকে নিয়ে নিউজ়িল্যান্ড কোচ বলেছেন, ‘‘মার্টিনের বেশ কিছু ওয়ান ডে সেঞ্চুরি আছে। ও আমাদের দলের অন্যতম অস্ত্র। সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে আমাদের কাজ হল, ওর মানসিকতা ঠিকঠাক রাখা।’’ কোচ আরও যোগ করেন, ‘‘আমরা জানি, ও মাঠে নেমে খোলা মনে খেলতে ভালবাসে। কে বলতে পারে, পরের ম্যাচেই ও দেড়শো রানের একটা ইনিংস খেলবে না। সেটা হলে সব সমালোচনা থেমে যাবে।’’