অনেক পরে শুরু করেও বিশ্বকাপের দৌড়টা দুর্দান্ত ভাবেই শুরু করল ভারত। কিন্তু সাউদাম্পটনে এই জয়ের আসল নায়ক কে? রোহিত? বুমরা নাকি কুলদীপ- চহাল জুটি?
ভারতকে প্রথমেই কিছুটা এগিয়ে দিয়েছিল ডেইল স্টেইন এবং লুঙ্গি এনগিডির চোট। যে পরিবেশে যে কোনও পেসার বল করতে চাইবেন, সেখানে বোলিং আক্রমণের ত্রিশূলের জোড়া ফলা হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে মেঘলা আকাশ আর বাউন্সি পিচ বুঝেও ডু প্লেসির ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত প্রবল সমালোচিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও স্টেইন-এনগিডির না থাকাকেই দায়ী করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তবুও রাবাডা-মরিসদের উপর ভরসা রাখলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেও পারত।
পরিবেশের পুরো সুবিধা নিয়ে ফাফদের আরও পিছনে ঠেলে দেন যশপ্রীত বুমরা। কক-আমলাদের নড়তেই দেননি ডানহাতি এই পেসার। তাঁর বলের দিশা না পেয়ে আউট হন দুই ওপেনারই। ভারতের জয়ের অন্যতম কারণ বিধ্বংসী বুমরার শুরুর এই স্পেল।
প্রাথমিক ধাক্কা কাটানোর চেষ্টা করে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডুসান-ডুপ্লেসি। যদিও ভারতীয় স্পিনাররা তাঁদের তেমন সুযোগ দেননি। ২০তম ওভারে দু’জনকেই ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের বড় রান করার সম্ভাবনা শেষ করে দেন চহাল।
চহালের মতো ফর্ম-এ ছিলেন কুলদীপও। উইকেটের কলাম-এ একমাত্র ডুমিনির নাম থাকলেও তাঁকে বুঝতে বেগ পেয়েছেন সব ব্যাটসম্যান। কুল-চা জুটির ফর্ম স্বস্তিতে রাখবে কোহালিকেও।
তবে বাগে পেয়েও ২০০-র কমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেঁধে না রাখা চিন্তায় রাখবে কোহালিকে। শেষের দিকে মরিসের জন্য ২২৭-এর স্কোর খাড়া করে তারা।
প্রোটিয়া ইনিংস শেষ হতেই সচিন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি হলে টেস্ট ম্যাচের মতো ইনিংস শুরু করতাম। কথাটা রোহিত মনে রাখলেও অফ ফর্মের ধওয়ন বোঝেননি। তাই রাবাডার বাইরে বেরনো বলকে খোঁচা দিয়ে আউট হয়ে দলকে কিছুটা বিপদে ফেলেন।
ফর্মে দেখাই যায়নি চেজমাস্টারকেও। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে সংযম দেখিয়ে দলকে স্থায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রাবাডাদের প্রাথমিক ঝড়ও সামলে দেন।
তবে চারে নেমে স্বস্তি দিলেন রাহুল। সেই সময় আর একটা উইকেট অনেক হিসাব বদলে দিতে পারত। কিন্তু রাহুল তা হতে দেননি। রোহিতের সঙ্গে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ মাঠের ভাগ্যও গড়ে দেয়।
৩৪ রানের ইনিংসে ভরসা দিলেন ক্যাপ্টেন কুলও। মরিসের যে বলে আউট হলেন, সেটা ছাড়া একবারও সংযম হারাতে দেখা যায়নি ধোনিকে।
সব শেষে বলতেই হবে ম্যাচের সেরা রোহিত শর্মার কথা।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে দলকে স্বস্তি দিলেন না শুধু, প্রতিপক্ষদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন জোড়া ডবল সেঞ্চুরির মালিক। সেঞ্চুরির সংখ্যায় এ দিন তিনি টপকে গেলেন সৌরভকেও। রো-হিট-এর এই অপরাজিত সেঞ্চুরি যে কোনও দিনই সেরা।