পাক-সমর্থকদের সঙ্গে সুধীর। ছবি: এএএপি।
৩০ বছর আগে লাহৌর ছেড়ে বিলেতে চলে এসেছিলেন গুলাম খান। রবিবার তিনি তাকিয়ে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে। এজবাস্টনে আগামী কাল ভারতের জয় দেখতে চান তিনি।
মার্কিন-মুলুক থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য বিলেতে এসেছেন আবদুল জলিল। তাঁকে অবশ্য ‘চাচা’ নামেই বেশি চেনে ক্রিকেটমহল। রবিবার এজবাস্টনে ভারতের জয় দেখতে চান তিনিও। চাচা বলছেন, “আমি চাই ভারত হারাক ইংল্যান্ডকে। ভারত জিতলে আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারব।”
পাকিস্তান সমর্থকদের টুকরো টুকরো মন্তব্যই বলে দিচ্ছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয় দেখতে চায় প্রতিবেশী দেশ।
রবিবাসরীয় ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ যেন মিলিয়ে দিয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী— ভারত ও পাকিস্তানকে। চলতি বিশ্বকাপ পাকিস্তান সমর্থকদের এমন এক পরিস্থিতিতে এসে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে, ‘টিম ইন্ডিয়া’কে সমর্থন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায় নেই তাঁদের সামনে।
আরও পড়ুন: উইকেট নেওয়ার পরে স্যালুট করেন কেন কটরেল? রহস্য ফাঁস ক্যারিবিয়ান বোলারের
আরও পড়ুন: প্রায় নিশ্চিত সেমিফাইনাল, রুটদের বিরুদ্ধে দলে এই পরিবর্তনগুলি করতেই পারেন কোহালি
এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ খেলে সরফরাজ আহমেদরা জিতেছেন তিনটি ম্যাচে। হেরেওছেন তিনটিতে। তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। এক সময়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে এখনও টিকে রয়েছে পাকিস্তান। অন্য দিকে, ইংল্যান্ড সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছে ৮ পয়েন্ট। শেষ চারের ছাড়পত্র পেতে হলে পাকিস্তানকে শেষ দু’টি ম্যাচে জিততেই হবে। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডকেও হারতে হবে।
পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ যেমন মনেপ্রাণে ভারতের জয় চাইছেন, তেমনই প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও দেখতে চাইছেন ভারতের দাপট। ক্রিকেট কেরিয়ারে সচিন তেন্ডুলকর-বীরেন্দ্র সহবাগদের উইকেট ছিটকে দেওয়ার জন্য মাঠে নামতেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ শোয়েব আখতার। রবিবারের ম্যাচের আগে শোয়েব ইউটিউবে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এ বার ভারতের সাহায্য খুব দরকার পাকিস্তানের। কী ভাবে? ভারত যদি ইংল্যান্ডকে হারায়, তা হলে ইংল্যান্ড ছিটকে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। পাকিস্তান তা হলে বাকি দুই ম্যাচ জিতে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছবে।” শোয়েব আরও বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, পাকিস্তান দারুণ ভাবে ফিরে এসেছে। এ বার জেগে ওঠো ভারত। তোমাদের সাহায্য করতেই হবে। ইংল্যান্ডকে হারাও তোমরা। বাকি দুটো ম্যাচ আমরা জিতবই। তখন সেমিফাইনালে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে।’’
কোহালি এবং সরফরাজরা সেমিফাইনালে গেল শেষ চারে দুই দলের ফের দেখা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতের কাছে লজ্জাজনক হারের প্রতিশোধ নিতে পারবে পাকিস্তান। সেমিফাইনালের ঢের দেরি। আপাতত ভারতের জয় দেখতে চাইছে পাকিস্তান।