মহম্মদ হাফিজ।
শেষ এগারো ওয়ান ডে ম্যাচে হার। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের কাছে ওয়ান ডে সিরিজে ০-৪ ফলে বিপর্যয়। দমবন্ধ করা সে পরিস্থিতির অবসান ঘটল সোমবার। এ বার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে পাকিস্তান শিবিরের মেজাজ। পাক দলের অভিজ্ঞ তারকা শোয়েব মালিকের স্ত্রী, ভারতীয় মহিলা টেনিস তারকা সানিয়া মির্জ়া টুইট করেছেন, ‘‘পাকিস্তান সম্পর্কে একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে, তাদের নিয়ে কোনও অনুমান চলে না। সে ভাবেই ওরা দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াল। পাক দলকে অভিনন্দন। মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপ আরও রোমাঞ্চক হয়ে গেল।’’
দুর্দান্ত এই প্রত্যাবর্তনের রহস্য কী? সোমবারের ম্যাচের সেরা, ৩৮ বছরের অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজ় মনে করেন, দুর্দান্ত দলীয় সংহতিই পাল্টে দিয়েছে তাঁদের নিয়ে তৈরি হতে থাকা দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। মঙ্গলবার টুইটারে পাক দলের সতীর্থদের নিয়ে ছবি পোস্ট করে হাফিজ় লিখেছেন, ‘‘ইদ উৎসবের আগে এর চেয়ে সেরা উপহার আর কিছু হতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ের ম্যাচগুলি বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে আমরা কিন্তু ভাল ক্রিকেট খেলেছি। তবে চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছিলাম না। এ বার তা হয়নি। প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছিল যে, ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রয়েছে। তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।’’ বরং এক ধাপ এগিয়ে হাফিজ় আরও বলেছেন, ‘‘দরকার ছিল দারুণ একটা জয়ের। দলীয় সংহতি আমাদের সেই লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করেছে। আগামী ম্যাচগুলিতে এই ক্রিকেটই পাকিস্তান উপহার দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’’
হাফিজ়ের বক্তব্যে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে অধিনায়ক সরফরাজ় আহমেদেরও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সতীর্থদের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে সব চেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেব বোলারদের। ওরা পুরো ম্যাচে অসাধারণ বোলিং করেছে।’’ স্পিনার শাদাব খানের প্রশংসা করে সরফরাজ় বলেছেন, ‘‘আমরা জানতাম, ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার স্পিনের বিরুদ্ধে খুব স্বচ্ছন্দে খেলতে পারে না। তাই ওকে দিয়েই বোলিং শুরু করিয়েছিলাম।’’ শাদাবই তুলে নেন জেসন রয় ও জো রুটকে। যদিও পাক অধিনায়ক সতীর্থদের এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘‘ফিল্ডিং নিয়ে আমি খুব সন্তুষ্ট হতে পারছি না। অনেক সহজ ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। সেটা কাম্য ছিল না। আশা করি, পরের ম্যাচে সেই ছবি ফিরবে না।’’পাক দলের ডান হাতি পেসার হাসান আলি আবার জয়ের কৃতিতব দিয়েছেন কোচ মিকি আর্থারকে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শেষ ১১টি ওয়ান ডে ম্যাচে হারের পরে আমরা নিজেদের উপরেই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবে সেই সময়ে কোচ আর্থার প্রত্যেক মুহূর্তে বোলারদের চাঙ্গা রাখার কাজটা করে গিয়েছেন।’’