ছবি টুইটার।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। অনেকেই এই ফলকে অঘটন হিসেবে দেখছেন। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরফি মর্তুজার অনুরোধ, বিষয়টি একেবারেই যেন অঘটন হিসেবে দেখা না হয়।
রবিবার ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মাশরফি বলেন, ‘‘আপনাদের মনে হয় এটা অবিশ্বাস্য? অঘটন? নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে, তার ফল কী রকম হতে পারে তার আন্দাজ আমাদের রয়েছে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘জানি অনেকেই আমাদের দক্ষতাকে সে ভাবে গুরুত্ব দেন না। তাই আমরাও বাকিদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিয়েছি। যে যা বলছেন, বলুন। আমরা সেরাটা দিয়ে যাব।’’
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেনি বাংলাদেশ। মাশরফি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের জন্য খুব ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছি। সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস ও আস্থা বাড়াতে সাহায্য করেছে। এখনও অনেক কিছু প্রমাণ করা বাকি। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে ছেলেরা প্রস্তুত। জানতাম বড় দলগুলোকে হারানোর ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’
দলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে খুশি মাশরফি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যেমন শাকিব আল হাসান (৭৫) ও মুশফিকুর রহিম (৭৮) রান পেয়েছেন। তেমনই দুরন্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান (৩-৬৭) ও মেহদি হাসান মিরাজ (২-৫৭)। অধিনায়কের কথায়, ‘‘ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে আমাদের দেশের আবহাওয়ার কোনও মিল নেই। এই পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়াও সহজ নয়। তবুও আমরা যা খেলেছি, তা সত্যি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এটা আমাদের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। অন্যতম কারণ, এর আগেও অনেক ভাল ম্যাচ আমরা খেলেছি। এই ম্যাচে যে রকম খেলেছি, এটাই আমাদের আদর্শ। সব ম্যাচে এ ধরনের পারফরম্যান্স হয়তো হবে না। কিন্তু এ রকমই আমরা খেলতে চাই।’’
প্রাক্তন অধিনায়ক শাকিবের প্রশংসাও করে গেলেন বর্তমান অধিনায়ক। ‘‘ওর মতো চাপ কেউ সামলাতে পারে না। ব্যাটিং অর্ডারের শুরুর দিকটা যে রকম সামলাতে পারে, তেমনই চাপের মুখে ভাল বল করে দিতে পারে। শাকিব আমাদের দলের সম্পদ।’’ যাঁকে নিয়ে প্রশংসা, সেই শাকিব অবশ্য জানিয়েছেন, ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানকে হারানোকে অঘটন বলা যেতে পারত। কিন্তু এখন দল হিসেবে অনেক উন্নত হয়েছে বাংলাদেশ।