বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি। ছবি: রয়টার্স।
অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি মোর্তাজা। তাঁর আগে একাধিক অধিনায়ক বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কেউই মাশরাফির মতো বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ জিততে পারেননি।
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে মাশরাফি ছাপিয়ে গেলেন শাকিব আল হাসান, হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, খালেদ মাসুদকে। এঁদের মধ্যে শাকিব ও হাবিবুল তিনটি করে ম্যাচ জিতেছেন বিশ্বকাপে। আমিনুল জেতেন দু’টি ম্যাচ। মাশরাফি গড়লেন নতুন নজির। ইংল্যান্ডের মাটিতে দেশের সফলতম অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন বলা যায়।
অথচ এই মানুষটাই চোটের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন নিরন্তর। চোটের কারণেই ২০১১ বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তিনি। চোটের লাল চোখে দেখায় কত ম্যাচ যে তিনি খেলতে পারেননি, তার ইয়ত্তা নেই। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মোর্তাজা। সেই চোট নিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে গা ঘামানোর ম্যাচে খেলেছেন মাশরাফি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে কি পুরোদস্তুর ফিট ছিলেন মাশরাফি? তা নিয়েও চলছে জল্পনা। চোটের জন্যই টেস্ট ক্রিকেট এখন আর খেলতে দেখা যায় না তাঁকে। চোট উপেক্ষা করে মাশরাফি দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াকু মাশরাফিকে আরও একবার দেখা গেল। তিনি লড়াইয়ের মানসিকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন দলের মধ্যে। চার বছর আগের বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এ বারের শুরুটাই যেন হল দামামা বাজিয়ে।
আরও খবর: বিশ্বকাপে নজর কাড়ছেন এই সুন্দরী পাক ধারাভাষ্যকার, চেনেন এঁকে?
আরও খবর: একটিই ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ, ভবিষ্যদ্বাণী করে ভয়ঙ্কর ট্রোলড ম্যাকালাম
মাশরাফির নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে ইতিহাসেরও পুনরাবৃত্তি হল ইংল্যান্ডের মাটিতে। ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১২ বছর বাদে বিশ্বকাপে ফের দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটি ধরাল ‘বাংলার বাঘ’রা। প্রোটিয়াদের হারানোর পর থেকেই আইসিসি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বন্দনায় মেতে উঠেছে। আইসিসি তাদের ফেসবুক পেজে মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও শাকিব আল হাসানের ছবি দিয়ে তাঁদের কিংবদন্তি বলে উল্লেখ করে। ম্যাচ জেতার পরে সাংবাদিক বৈঠকে মাশরাফি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছে বলেই মনে করি।’’ চলতি বিশ্বকাপে ব্যাঘ্র গর্জন চলবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।