জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে।—ছবি রয়টার্স।
সেমিফাইনালের আগে চোটগ্রস্ত অস্ট্রেলীয় শিবির। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন তাঁদের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানেরা। শন মার্শ কব্জিতে চোট পেয়েছেন। হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা উসমান খোয়াজার। কোমরের ডান পাশে চোট মার্কাস স্টোয়নিসের। তাই সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলে কিছু পরিবর্তন করতেই হবে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে।
প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোমরে চোট পেয়েছিলেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়নিসও। তাই স্ট্যান্ডবাই হিসেবে উড়িয়ে আনা হয় মিচেল মার্শকে। চোট সমস্যার মধ্যেই গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে ল্যাঙ্গারের দলকে। তাও দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারদের ছাড়া। ল্যাঙ্গার যদিও ঘাবড়াচ্ছেন না। বলেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে যে কোনও দলই পড়তে পারে। শেষ চারের খেলায় প্রত্যেক দল চাপে থাকে। ক্রিকেটারেরা চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু যোগ্য পরিবর্তও আমাদের দলে রয়েছে।’’
মার্শের পরিবর্তে এসেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। খোয়াজার বদলে ম্যাথু ওয়েড। স্টোয়নিসের জায়গায় এসেছেন মিচেল মার্শ। ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘‘জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে ওয়েড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার অভাব নেই। ও খেললে দলেরই ভাল হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘হ্যান্ডসকম্বকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। মাস খানেক আগে ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে সিরিজ জেতার পিছনে ওর প্রচুর অবদান ছিল। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সিরিজেও দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল। শট নির্বাচনও অসাধারণ।’’
পরিবর্তনের ফলে ব্যাটিং অর্ডারে যে বদল হতে পারে, তা মেনে নিচ্ছেন ল্যাঙ্গার। বলেছেন, ‘‘পরিবর্ত থাকা ইতিবাচক একটি দিক। তা ছাড়া আমরা দ্রুত যে কোনও পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। যেমন ব্যাটিং অর্ডারে কোনও দিন তিন নম্বরে নামে স্মিথ। কখনও উপরের দিকে খেলে অ্যালেক্স ক্যারি। মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয় না। ’’ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক’টি পরিবর্তন হতে পারে? ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘‘প্রথম চারজন এমন বাছতে হবে যাঁদের সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা রয়েছে। বাকিটা পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ আরও বলেন, ‘‘মিচেল মার্শ খেললে বাড়তি মিডিয়াম পেসার পাওয়া যাবে।’’