মুগ্ধ: শিষ্য বুমরার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মালিঙ্গা। ফাইল চিত্র
গুরু এবং শিষ্য বলা হয় তাঁদের। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে সতীর্থ। শিষ্য অনেক মারণাস্ত্রই শিখেছেন গুরুর থেকে। এ বার তাঁরা মুখোমুখি বিশ্বকাপের আসরে। তার আগে লাসিথ মালিঙ্গার মুখে সর্বোচ্চ প্রশংসা শোনা গেল যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে।
শ্রীলঙ্কার পেসার বলে দিলেন, বুমরাই এখন বিশ্বের সেরা বোলার। নিজের প্রতি অগাধ আস্থাই বুমরাকে এত ভয়ঙ্কর বোলারে পরিণত করেছে বলে মনে করছেন তিনি। এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ‘‘চাপ? কীসের চাপ? তখনই এক জন ক্রিকেটার চাপ অনুভব করে যখন তার কাছে স্কিল যথেষ্ট থাকে না। যদি কেউ নিখুঁত হতে পারে, তা হলে সে একই কাজ বারবার করে দেখাতে পারে।’’ বুমরাকে নিয়ে এর পরেই উচ্ছ্বসিত শোনায় তাঁকে, ‘‘বুমরার স্কিল অনেক বেশি। ও জানে একই ভাল বল বারবার কী ভাবে করে যেতে হবে।’’
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে মালিঙ্গার সান্নিধ্যেই বেড়ে ওঠা বুমরার। তাঁর মতোই অন্য রকম বোলিং অ্যাকশন বুমরার। দু’জনেই ইয়র্কারের মাস্টার। চলতি বিশ্বকাপে মালিঙ্গা যেমন ইয়র্কারে বাজিমাত করেছেন, তেমনই প্রতিপক্ষকে এই অস্ত্রে ঘায়েল করে চলেছেন বুমরা। তাঁদের এই ইয়র্কার সাফল্যের রহস্য কী? মালিঙ্গার জবাব, ‘‘যে কেউ ইয়র্কার করতে পারে। কিন্তু সফল তখনই হবে যখন নিখুঁত জায়গায় সেটা করা যাবে। একই স্পটে ক’জন বোলার বারবার বল ফেলতে পারবে? দু’টো জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং ম্যাচ নিয়ে বিশ্লেষণ।’’
পুরনো কথা মনে করে সবার আগে বুমরার খিদের কথাই বলছেন মালিঙ্গা। বলছেন, ‘‘২০১৩-তে আমি প্রথম ওকে দেখি। বুমরার শেখার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছিল। এবং, ও দ্রুত শিখেছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বুমরা দেখিয়েছে, ও কত তাড়াতাড়ি শিখতে পারে, কত দ্রুত উন্নতি করতে পারে।’’ মালিঙ্গার এমনও মনে হচ্ছে যে, বিরাট কোহালির ভারতের পক্ষে ২০১১-র ধোনির দলের কাপ জয়ের স্মৃতি ফেরানো সম্ভব। ‘‘ভারতের এই দলটা লড়াকু চরিত্র দেখিয়েছে। ওদের পক্ষে ইতিহাস ফেরানো সম্ভব। রোহিত শর্মা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। বিরাট কোহালির একটা বড় স্কোর জমতে শুরু করেছে। আমার মনে হচ্ছে, সেমিফাইনাল বা ফাইনালে বড় স্কোরের দিকে এগোচ্ছে বিরাট,’’ বলে দিচ্ছেন ‘স্লিঙ্গা’ মালিঙ্গা। ভারতীয় দলকে এগিয়ে রাখার কারণ? ‘‘ওদের দলে ম্যাচউইনার অনেক। সেটাই একটা দলকে সেরা করে তোলে।’’
মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিয়ে যে সমালোচনা চলছে, তাতে অবশ্য গলা মেলাতে চান না মালিঙ্গা। বরং বলে দিচ্ছেন, ধোনির আরও কিছু দিন চালিয়ে যাওয়া উচিত। ‘‘ধোনি এখনও সেরা ফিনিশার। ওর জায়গা পূরণ করা কোনও তরুণের পক্ষেই সহজ হবে না,’’ সাবধান করে দিচ্ছেন তিনি।