বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত বরাবরই অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলির বিরুদ্ধে ভাল খেলে এসেছে। ২০০৩ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের প্রথম ম্যাচ হয় নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে মাত্র ২০৪ রানে ভারতীয় ব্যাটিং গুটিয়ে গেলেও, ১৩৬ রানে অল আউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। তারপরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিপর্যয় নাড়িয়ে দেয় পুরো দেশকে। বিপর্যয় সামলে ফিরে আসতে যদিও খুব বেশি বেগ পেতে হয়েনি সচিন, দ্রাবিড়, কুম্বলে সমৃদ্ধ সৌরভ বাহিনীকে। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ১৮১ রানের বিশাল জয় বাড়িয়ে দেয় ২০০৩-এর ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস। এরপর সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় সন্দিপ পাটিলের তত্ত্বাবধানে বিপ্লব ঘটানো কেনিয়ার। সেই ম্যাচে যদিও মহারাজের ব্যাট গর্জে ওঠায় (১১৪ বলে ১১১ রান ) বিশেষ বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। ৯১ রানে জিতে যায় ভারত।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে দ্রুত বিদায় নেওয়ার আগে বারমুডার মুখোমুখি হয় ভারত। সেই ম্যাচে সহবাগের ৮৭ বলে ১১৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস ভারতকে পৌঁছে দেয় ৪১৪ রানের পাহাড়ে।
২০১১-এ ভারত ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে ধোনীর হাত ধরে। সে বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অঘটন ঘটানো আয়ারল্যান্ডকে ভারত হারায়ে ৫ উইকেটে। যুবরাজের বল হাতে ৫ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৫০ রানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ভারতকে পৌঁছে দেয় জয়ের সরণিতে। তারপরের বিশ্বকাপেও আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ভারত। শিখর ধওয়ানের ৮৫ বলে শতরান ভারতকে জিত্তে সাহায্য করে ৮ উইকেটে।